নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্যামলী পরিবহনের একটি নৈশকোচের নিচে চাপা পড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্যামলী পরিবহনের একটি নৈশকোচের নিচে চাপা পড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আজ
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টায় সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের কামারপুকুর বাজার
সংলগ্ন পতিরাম ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ মাসুদ (২৮), যিনি কামারপুকুর
ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দলুয়া গ্রামের মোহাম্মদ বুদারু মামুদের ছেলে,
এবং আরোহী নুর ইসলাম (৫৫), যিনি একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কুজিপুকুর
গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

জানা যায়, সৈয়দপুর থানার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইয়ুব ফিলিং স্টেশন এবং
রাজা ফিলিং স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী শ্যামলী
বাসের সঙ্গে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে
মোটরসাইকেলসহ দুই আরোহী বাসের সামনের ডান চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে
ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সংঘর্ষের পর মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে বাসের চাকায় আটকে গেলে বাসটি
কিছুদূর গিয়ে থেমে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই শ্যামলী বাসের চালক ও হেলপার
পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যান
চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং তারাগঞ্জ
হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে
যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া
মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিহতদের
মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং
পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন যে,
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং বাস মালিকের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক চালক ও হেলপারকে আটকের জন্য
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।