জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
এছাড়া একই সময়ে সৈয়দপুরের হোটেল মালিক ও শ্রমিকদের জন্য দুই দিনব্যাপী এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য একদিনের পৃথক দুটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের হলরুম ও উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে আয়োজিত এসব প্রশিক্ষণে ২৫ জন করে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এবং সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) আ ন ম নাজিম উদ্দীন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মীর হোসেন এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ।
প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএ’র নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আইয়ুব হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নীলফামারী জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি সাকির হোসেন বাদল, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ডা. দেলোয়ার হোসেন, হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান চৌধুরী, আল ফারুক একাডেমির সিনিয়র সহকারী শিক্ষক গোলাম ফারুক, ক্যাব নীলফামারী জেলা সভাপতি সাংবাদিক আল আমিন, ক্যাব সৈয়দপুর উপজেলা আহ্বায়ক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর মালিক ফরিদ হোসেন, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক কাজী আব্দুল হান্নান ও শুকনা মাছ ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শুকনা মাছ আড়তদার, খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বিক্রেতা, সূধীজন ও সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপদতা সম্পর্কে সবাইকে অবশ্যই জানতে হবে এবং তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালমৃত্যুর শিকার হতে হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মানুষ ২২৬ প্রকার রোগে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, যার ৯০ শতাংশের কারণ অনিরাপদ খাদ্য।
তারা আরও বলেন, সামান্য সচেতনতা আমাদের এসব রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে বিএফএসএ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনিরাপদ খাদ্যের কুফল থেকে মুক্ত থেকে সুন্দর ও সুস্থ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।