নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই ডাকাত ও এক চোরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার নোয়াইল থেকে দুই ডাকাত ও দুপুরে পাশ্ববর্তী লাহাপাড়া থেকে এক চোরকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। আটককৃত ডাকাতরা হলো-সোনারগাঁ পৌরসভা রাইজদিয়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে জাহের আলী (৪৭) ও একই এলাকার পোকার হোসেনের ছেলে ইমন মিয়া (২৪) ও ছাপেরবন্দ গ্রামের ছমির মিয়ার ছেলে চোর আলী আহমেদ। আটককৃতদের ডাকাতি ও চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁ পৌরসভার নোয়াইল গ্রামে গত রোববার রাতে মুদি ব্যবসায়ী মামুন মিয়ার বাড়িতে দূর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল তার বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ, নগদ ২২ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইলসেট লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাত দল মামুন মিয়ার স্ত্রী মনি আক্তারকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ডাকাত দল ওই এলাকায় হানা দেয়। পরে ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকাবাসী চারদিক থেকে ঘেরাও করে ডাকাত দলের দুই সদস্য জাহের আলী (৪৭) ও ইমন মিয়া (২৪) কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে সকালে পুলিশে সোপার্দ করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেয়। তারা ১৭জন সংঘবন্ধ হয়ে ডাকাতি সংঘটিত করে।
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুবাই প্রবাসী আজিজুল ইসলামের বাসায় চুরি করতে গিয়ে আলী আহমেদ(৪২) নামের এক চোরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। চুরি করতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী লাবন্য আক্তার (২৭) কে ছুরিকাঘাতে আহত করে। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে আটক করে। আহত লাবন্যকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, দুই ডাকাত ও এক চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।