সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে সোনার ফসল ঘরে তুলার পর গদাবি পশুর খাবার শুকনো খড় তুলতে মাঠে চলছে কৃষকের ব্যস্ততা। বর্ষা আসার আগেই যতটা সম্ভব গদাবি পশুর বর্ষাকালের প্রধান খাবার শুকনো খড় সংরক্ষণই একান্ত প্রয়োজন । এটি যেন কৃষকের পরিশ্রমের শেষ ধাপ। বর্ষায় ৬ মাস হাওরের মাঠঘাট ও গোচরণভূমি ডুবে থাকে। এসময় গবাদিপশু সবসময় গোয়ালঘরেই রাখতে হয়৷ তাই যুগযুগ ধরে ধান ঘরে তুলার পর নিজ উদ্যোগে শুকনো খড় সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা৷
শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ছড়িয়ে আছে খড়। এই খড়ই এখন কৃষকের কাছে সোনার ফসলের চেয়ে ও কম নয়। গবাদিপশুর খাদ্য বা বিক্রির মাধ্যম হিসেবে এর চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নারী-পুরুষ-শিশুরা একসাথে খড় সংগ্রহে ব্যস্ত। কেউ মাথায় বোঝা নিয়ে চলেছেন বাড়ির পথে, কেউ আবার ভ্যান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষক শায়েখ মিয়া বলেন, এবছর ধান ভালো হয়েছে। ধান উঠার পর এখন খড় তুলছি গরুর খাবারের জন্য, আগেই এসব কাজ শেষ করতে হয়, না হলে বৃষ্টিতে খড় পঁচে যাবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান কাটায় সুবিধা হয়েছে। কৃষকেরা সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। এখন তারা খড় সংগ্রহ ও সংরক্ষণে মনোযোগী।