ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান ভোলা ২ আসনের নেতাকর্মী ও জনগন।

ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি  ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান ভোলা ২ আসনের নেতাকর্মী ও জনগন। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়ায় দৌলতখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজান সাজু ফ্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দেওয়া অভিযোগটি— মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

সোমবার  (৭ জুলাই ২০২৫) গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন ভোলা ২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম।


উল্লেখ্য- এর আগে ডিজিটাল প্লাট ফরমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ আনে সেলিম নামে এক ব্যক্তি। পরে ওই অভিযোগটির একটি ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

অভিযোগটির বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম

কর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসলে আমি মনোযোগ দিয়ে শুনি। সেলিম নামে যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা সদর-১ আসনের লোক। সাবেক বিএনপি এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। সেলিমের সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের সাথে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে। এটা তাদের পারিবারিক ইস্যু, একটা মহল তাকে দিয়ে আমার নামে ভিত্তিহীন,বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করায়। এতে আমাকে জড়িয়ে একটি মহল যেই ষড়যন্ত্রের করছে তারা জানেনা ভোলা ২ আসনে আমার জনপ্রিয়তার খবর। কারণ আমার পাশে ভোলা ২ আসনের জনগন আছে। আমি যতদূর জানি ওই বক্ত্যির জমিজমা বিষয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, হয়তোবা তিনি ভোলা ১ আসনের বিএনপির কর্মী হতে পারে, তবে ওই ব্যক্তি ভোলা ২ আসনের বাসিন্দা না। আমার এলাকার জনগন জানে, আমি হাফিজ ইব্রাহিম কি ধরনের লোক, ওই ব্যক্তিতো আমার কর্মী না, তাহলে আমি কেন তাকে হুমকি দিতে যাবো। আমি চিন্তা করে দেখলাম, অনেকেরই অন্ন ইচ্ছা আছে, তাই তারা পরিকল্পিত ভাবে অন্য এলাকার ইস্যু টেনে তাদেরকে পড়িয়ে ও বুঝিয়ে আমার নামে মিথ্যাচার করছে। তাদের টার্গেট ফুল ফিল করার জন্য চেষ্টা করেছে, আমি মনে করি তারা এই যাত্রাও ব্যর্থ হয়েছে। আপনারা জানেন ভোলা ২ আসনে ওয়ান ইলেভেনের সময় আামি ২ বছর জেল খেটেছি। জেল থেকে বেড় হওয়ার পর, আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া সব কয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। আমি ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, আমি এলাকায় আসার পরে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে দেয়নি তখনকার সময়ের নির্বাচন কমিশন নুরুল হুদা। এখন নুরুল হুদা সেই পাপের বোঝা ভোগ করতেছে, আল্লাহ তা দেখাচ্ছেন। আমি সব সময় আমার জনগণের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও আছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

পতিত সরকারের পলাতক ও একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র সফল করতে দিবেনা ভোলা ২ আসনের জনগণ।