সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়াযর নয়ারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে স্বর্ন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা ও ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়াযর নয়ারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে স্বর্ন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা  ও ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১৮ ই মার্চ দুপুরে আশুলিয়া থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার পিটুয়া বন্দের বাড়ি গ্রামের হক ভূঁইয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৪০), পাবনার সুজানগর থানার চর ভবানীপুর এলাকার শেখপাড়া গ্রামের জোনাই প্রামাণিকের ছেলে আরিফ প্রামাণিক (৩০), একই জেলার আতাইকুলা থানার সরাডাঙ্গী (সরদারপাড়া) গ্রামের মৃত করিম শেখের ছেলে শাহ আলম (৪৫), আরমান শেখ (৩৭), রাজশাহীর কর্নহার গ্রামের রাধানগর শল্লাপাড়া মোড় এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বাবু (৪৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বৃষ্টিপুর 
গত ৯ মার্চ রাতে আশুলিয়া নয়ারহাট এলাকায় স্ত্রীর সামনে দিলীপ[ জুয়েলারীর মালিক  ব্যবসায়ী দিলীপ কুমারকে (৫২) কুপিয়ে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতের ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে মারা যান দিলীপ কুমার।
পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে ৫ ডাকাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়ীকে হত্যা ও স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এবং একজন ডাকাতির মালামাল তার জিম্মায় রাখে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির সময় ডাকাত ইমরান, তার দুই ভাই শাহ আলম ও আরমান, রিপন, আরিফ, আকাশ, তালিম ও মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ একটা ভাড়া গাড়িতে করে নয়ারহাট এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির টার্গেট করে। ইমরান ও আকাশ গাড়ির ভিতরে অবস্থান করে, আরমান ও শাহ আলম ঘটনাস্থলের পাশে পাহারা দেয় এবং তালিম ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। রিপন ও আরিফ দু'টি চাপাতি দিয়ে দিলীপকে কোপায় এবং মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ৮ জন মিলে গাড়িতে উঠে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও সাভার সার্কেল এর অতিঃ পুলিশ সুপারশাইনুর কবির, আশুলিয়া থানার তদন্ত ওসি কামাল হোসেন,অপারেশন্স শফিকুল এবং অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া আশুলিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মাহমুদুল হাসান।