মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখা এলাকা থেকে একটি বিশাল বিজয় র্যালি শুরু হয়ে গোলাকান্দাইল গোলচত্বরে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির।
এই বিজয় র্যালি শুধু একটি উৎসব নয়—এটি আমাদের অতীতের আত্মত্যাগ ও শহীদদের স্মরণ করার দিন। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই মাসে শহীদ হওয়া আমাদের সেই তরুণদের, যারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের গুলিতে রাজপথে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা কোনো দলের জন্য নয়, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন,
"জুলাই শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই দেশে আবার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, আইনের শাসন ফিরবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে।
বিগত স্বৈরাচার সরকারের অধীনে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চরম হুমকির মুখে ছিল । দেশের মানুষ এই স্বৈরাচারী শাসন চায়নি বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে আসছে গণঅভ্যুত্থান এটাই হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের প্রথম বিজয়। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান এবং বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামতে হবে।
আমাদের রুপগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশের যারা শহীদ হয়েছে তাদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাছুম, উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া এবং সেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিজয় র্যালি ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে ‘গণতন্ত্র চাই’, ‘নির্বাচন চাই’ ও ‘স্বাধীনতা চাই’—এমন নানা স্লোগানে।