গত ৩১ জুলাই , বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীর সূচনা করেন সিমু নাসের, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্যা ঢাকার ডিরেক্টর ফ্র্যাস ওঁয়া,জুলাই যোদ্ধা নাহিদুল ইসলাম,কন্ঠশিল্পী ওয়ার্দা আশরাফ,
eআরকির কনটেন্ট এডিটর খালিদ সাইফুল্লাহ ও কাওসার শাকিল।
eআরকির পক্ষ থেকে কাওসার শাকিল প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় -
জুলাই ২০২৪। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর ৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থান। প্রাণ দিয়েছেন বহু নির্ভীক,আহত হয়েছেন অগুণিত মানুষ। রক্তস্নাত সেই জুলাইয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ হয়ে উঠেছিল প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। জনমানুষের কথা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাস, শ্লোগান,ছবি, ভিডিও ফুটেজ, কার্টুন,মিম ও ছাত্র-জনতার আঁকা গ্রাফিতিতে খুঁজে পাওয়া যায় সেইসব বিদ্রুপের নিদর্শন।
শুধু '২৪ নয়, এদেশের জন্মের প্রারম্ভ থেকে ইতিহাসের বাঁকবদলের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে বিদ্রুপ বা স্যাটায়ার। পথেঘাটে, চায়ের আড্ডায়,রাজপথ থেকে সময়ের সাথে সাথে এর প্রবল বিচরণ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যক্তি পর্যায় ছাড়িয়ে স্যাটায়ার বা বিদ্রুপের নানা ফর্ম জায়গা করে নিয়েছে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও রাজনৈতিক বার্তায়।
eআরকি গত এক দশক ধরে স্যাটায়ার নিয়ে কাজ করছে। গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে মানুষের কথা বলার অধিকার যখন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছিল,তখন থেকে শুরু করে জুলাই আন্দোলন-অনলাইন ও অফলাইনে ছিল eআরকির সগর্ব বিচরণ। জুলাইয়ের এক বছর পূর্তিতে সেইসব বিদ্রুপাত্মক নিদর্শনগুলোর ওপর দাঁড়িয়েই এই প্রদর্শনী; যা আপনাকে আবারো মনে করিয়ে দেবে বিদ্রুপ হলো ক্ষমতাসীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতাহীনের লড়াইয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র । এসবের পাশাপাশি প্রদর্শনীতে রয়েছে গত অভ্যুত্থানের গান, কবিতা, ভিডিও চিত্র। রয়েছে ড্রামা কুইনের লাইভ ড্রামা, স্বৈরাচারকে ধরার জন্য দৌড়, শাট ডাউন টানেল, স্মৃতিময় জুলাই করিডোরসহ নানা লাইভ অ্যাক্টিভিটি।আর সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন স্যুভেনির।
প্রদর্শনীতে ঘুরতে আসা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট জুলাই যোদ্ধা অনন্যা বলেন, বিগত দেড় যুগের স্বৈর শাসকদের ধারণা ছিল বর্তমান প্রজন্ম রাজনীতি পছন্দ করে না ।তাঁরা মোবাইল, ফেইসবুক, ইউটিউবে মত্ত ও ব্যস্ত থাকে।তারা এত তাড়াতাড়ি জেগে উঠবে এবং আপোষহীন হয়ে উঠবে শাসকবর্গ তা চিন্তাও করতে পারেনি। নতুন প্রজন্ম যে যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জড়িত ছিল সে সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই গর্জে উঠেছিল। গুলি,হত্যা, খুন, হামলা-মামলা,গুমের মতো অপকর্মের বিরুদ্ধে তাদের জেগে উঠা ছিল অসাধারণ! ইতিহাসে আবারো প্রমাণ হলো যে, তারুণ্যকে পদাঘাত করে কোনো অপশক্তিই টিকে থাকতে পারে না।