৭ নভেম্বর-২০২২ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। ফারদিন নিখোঁজ হন ৪ নভেম্বর-২০২২ রাতে, এবং পরদিন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার দুই দিন পর, ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ জানতে পারে যে, ৪ নভেম্বর রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ফারদিন চনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। পুলিশের প্রথামিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদক গ্রহণ বা মাদক লেনদেন কে কেন্দ্র করে ফারদিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন দাবি করেন, "আমার ছেলে তো ধূমপানও করে না। তাকে মাদকসেবী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা সত্য নয়।" এদিকে ফারদিনের মৃত্যুর পর, র্যাবের একটি অভিযানে ১১ নভেম্বর চনপাড়া এলাকায় মাদক কারবারির হোতা শাহীন মিয়া, যিনি সিটি শাহীন নামে পরিচিত, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এই ঘটনা ফারদিনের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। তবে, ৪০ দিন পর, ডিবি পুলিশ দাবি করে যে, ফারদিন সম্ভবত ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ফারদিনের পরিবারের পক্ষ থেকে এই নতুন তথ্যের প্রতি সন্দেহ ও প্রতিবাদ রয়েছে। তাই ২৪ তারিখের আন্দোলনের পর বিতর্কিত সেই ডিবি ও র্যাবের অভিযানের উপর আজকে প্রশ্ন আসেই—ফারদিনের মৃত্যু কি আসলেই আত্মহত্যা নাকি হত্যা?