কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সিমান্তবর্তী দুই গ্রাম দুই থানার মোড় এবং শহরের

মোড় এলাকার গ্রাম বাসীদের মাঝে মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়ানোর রেশ

এখনো কাটেনি। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের

উস্কানি মূলক স্ট্যাটাসে পুনরায় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ইঙ্গিত পাওয়া যায় মর্মে

স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সেই সাথে দুই গ্রামের মাঝে লোক চলাচল বন্ধ

থাকায় চাপা উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই থানার মোড়ের

জনৈক আলমগীর গুরুত্বর আহত হলে তাৎক্ষনিকভাবে চিলমারী মেডিকেল থেকে

রংপুর মেডিকেলে স্থানন্তর করা হয়। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম

জেলার চিলমারী উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে দুই

গ্রামবাসীর মাঝে চলমান সংঘর্ষ বন্ধ হলেও উভয় পক্ষে হাট বাজার সহ জরুরী

কাজে লোক চলাচলের বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এস.এস.সি

পরীক্ষার্থীরা ভয়ে আতœীয়দের বাড়ীতে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। গতকাল

১১/০৪/২০২৫ ইং তারিখে শহরের মোড় এলাকার ০২ জন দুধ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর

ও সবুজ মিয়া জোড়গাছ বাজারে দুধ বিক্রি করতে গেলে চৌরাস্তার মোড় ও

দুই থানার মোড়ের লোকজনের হুমকির মুখে পড়ে। অপরদিকে শহরের মোড়ে

মুদি দোকানদার মফিজল জানান, শরিফের হাটে তিনি অটো রিক্সায় করে

দোকানের মালামাল ক্রয় করে আনার সময় বাধার মুখে পড়েন। প্রকাশ থাকে যে,

গত ০৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখে শহরের মোড় এলাকার তিন বখাটে ছেলে সুমন,

মমিনুল ও পাভেল শহরের মোড় এলাকার মা, মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করে

এবং মোবাইল ফোনে ছবি তুললে দুই থানার মোড় এলাকার সাজু ও

মোতালেব প্রতিবাদ জানালে উক্ত্যক্তকারী তিন বখাটে তাদের উপর চড়াও হয়। গত

১০/০৪/২০২৫ ইং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের গ্রামবাসীরা

মসজিদে মাইকিং করে লাঠিসোটা, শুল্ফি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে

সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এবং তারা সংঘর্ষ কালীন ককটেলও

বিস্ফোরন করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০/২২ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে

ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অবগত আছেন। শহরের মোড়ের

এলাকার গ্রামবাসিরা চেয়ারম্যানের কথা মোতাবেক শান্ত রয়েছেন এবং

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাউকে যাতায়াতে বাধা প্রদান করেনি। রমনা

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, সার্বিক পরিস্থিতি

অশান্ত করার চেষ্ঠা করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার জন্য

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছেন। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ

জানিয়েছেন, রমনা ইউনিয়নের দুই থানার মোড় এলাকার আহত লোকজন ও

সংঘঠিত সংঘর্ষের বিষয়ে এ পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি, সেখানে

পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।