বারার হাত ধরে এই পেশায় যুক্ত হন তিনি। বাবা মারা যাবার পর বসে না থেকে নতুন করে এ ব্যবসা শুরু করেন। জীবন জীবিকার তাগিদে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করেন নানা রকমের জিনিস।

হরেক মাল নিবেন হরেক মাল। সকাল হলেই নাওয়া খাওয়া সেরে এই কথাগুলো বলে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে চলে জামিয়ার রহমান। ভ্যানের উপর তৈরি করা ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়ে তা নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করেন। তার এই ভ্রাম্যমান দোকানে মুরি মুরকি,খোরমা, শুটকি, চানাচুর, বুট বিক্রি করেন। তিনি পাশের উপজেলার কিশোরগঞ্জ বাজার থেকে এসব মালামাল ক্রয় করে থাকেন। জামিয়ার রহমান জানায়,তার বাবা একসময় ভাড়ে করে গ্রামে গ্রামে মুড়ি মুরকি বিক্রি করতেন। বারার হাত ধরে এই পেশায় যুক্ত হন তিনি। বাবা মারা যাবার পর বসে না থেকে নতুন করে এ ব্যবসা শুরু করেন।

জীবন জীবিকার তাগিদে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করেন নানা রকমের জিনিস। তার কথায় হরেক রকম মাল বিক্রি করেন তিনি। তিনি পার্শ্ববর্তী আলমবিদিতর ইউনিয়নের কিশামত কুতুব গ্রামের বাসিন্দা। তারা ২ ভাই ১ বোন। বাবা বেচে নাই। গর্ভধারিণী মায়ের সব দ্বায়িত্ব সে নিজেই বহন করে। তার ৩ ছেলে ১ মেয়ে।  তিনি বলেন প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। বাবার মৃত্যুর পর কিছুদিন অন্যের বাসায় দিনমজুরের কাজও করেছি। কিন্তু সেখানে পোষায় না বলে এখন ফেরি করে বিক্রি করি।  তিনি আরও জানান, এ ব্যবসায় বেচাকেনা ভালই হয়। অধিকাংশ ক্রেতাই গ্রামের মহিলা ও বাচ্চারা।

যারা সচারাচর কেনাকাটার বাজার যায় না। তারাই তার কাছ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে। অন্যান্য ব্যবসায় টাকার মাধ্যমে লেনদেন হলেও সে ধানের বিনিময়ে পন্য বিক্রি করেন। তিনি নোহালী, আলমবিদিতর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করতে যান। তিনি অন্তত ১৫ থেকে ২০দিন পর এক গ্রামে যান। একই গ্রামে প্রতিদিন যান না। এতে বিক্রি ভালো হয়। তিনি বলেন দিনে ২/৩ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লভ্যাংশ থাকে। তিনি জানালেন সংসারে মা স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভালোই আছেন।