ভোলা জেলার সুপরিচিত ও বরেণ্য আলেম ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও উপজেলা পরিষদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে হাজারো মুসল্লির অশ্রুসিক্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে দাফন করা হয়েছে।


৭ই সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর ২টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, আর সেই দৃশ্যে উপস্থিত হাজারো মানুষও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

বরেণ্য একজন আলেমকে এভাবে হত্যা করা ভোলার ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এসপি সাহেব আপনারা কি করেন? একজন ধর্মীয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো অথচ এখনো ঘাতকরা গ্রেপ্তার হয়নি। দ্রুত দোষীদের আটক করতে না পারলে আপনাদের পদে থাকতে দেওয়া হবে না।”

এদিকে, আমিনুল হক নোমানী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল ভোলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও শোক র‍্যালির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোলা জেলা তৌহিদি জনতার আহ্বায়ক মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

জানাজায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাষ্টার জাকির হোসেন, বিএনপির জেলা সদস্য সচিব আলহাজ্ব মো. রাইসুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা প্রমুখ।

জানাজা শেষে তাকে চরনোয়াবাদে তার মাদ্রাসার পাশের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা নিজ বসতঘরে প্রবেশ করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে।