রবিবার- ২২ শে জুন ২০২৫ ইং, হালুয়াঘাট আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ এর অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজে'র গভর্নিং বডির সভাপতি, ব্যারিস্টার আ. স. ম. খালিদ ইকবাল। অত্র কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
অত্র কলেজে'র সভাপতি, ব্যারিস্টার আ. স. ম. খালিদ ইকবাল বলেন, শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থাই হালুয়াঘাট আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজকে তার সোনালী অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। পরবর্তীতে গভর্নিং বডি এবং শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠান বান্ধব এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন উপযোগী সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা গঠন করা হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবকদের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনা:
১/ ৮৫% নিচে উপস্থিতিতে কোনো রকমের প্রমোশন দেয়া হবে না। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিগ্রি শিক্ষার্থীরাও একই নিয়মের মাঝে পরবে।
২/ প্রতি মাসে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পাশ করা বাধ্যতামূলক।
৩/ কলেজ প্রাঙ্গনে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ এবং ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (প্রয়োজনে কলেজের অধ্যক্ষ বা অফিসের নাম্বারে অভিভাবকবৃন্দ যোগাযোগ করতে পারবে)
৪/ প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে মাসিক পরীক্ষার পর ফিডব্যাক মিটিং এ অভিভাবকবৃন্দের উপস্থিতিতে রেসাল্ট এবং ছাত্রী উপস্থিতি রেকর্ড প্রদর্শন করে স্বাক্ষর রাখতে হবে।
৫/ প্রতিমাসের বেতন অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। কোনো বেতন জমানো যাবে না।
৬/ কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীদের সাথে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কলেজে নিয়মিত ভর্তি, উন্মুক্ত এবং স্নাতক বর্ষে ভর্তি অনিয়ম, দুর্নীতি এবং কলেজের টাকায় সুদী কার্যক্রমের সাথে সহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদের একজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। বাকিদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির আওতায় আনা হবে ইনশাল্লাহ।
৭/ কলেজ ইউনিফর্ম, নির্দিষ্ট সাদা বোরকা পরিধান এবং আইডি কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৮/ কলেজের ফলাফল ১০০% পাশের হার সুনিশ্চিত করতে উপস্থিতি, ক্লাস পরীক্ষা, বর্ষ পরিবর্তন, টেস্ট পরীক্ষা সহ সকল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নজর দেয়া হবে।
৯/ প্রতিটি শিক্ষার্থী প্রতি মাসে শিক্ষক মূল্যায়ন ফর্ম পূরণ করে শিক্ষকদের গুণগত শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
১০/ ক্লাস সময়ের বাইরে শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তাছাড়া সহশিক্ষায় যেনো কম্পিউটার শিক্ষায় মনোনিবেশ করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এবং গ্রূপ ওয়ার্ক এ ছাত্রীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
১১/ শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের গাফিলতির জন্য চূড়ান্ত বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল যাতে কোনো ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দেয়া হবে। কোনো ধরণের সুপারিশ কার্যকর হবে না।
তিনি অভিভাবকদের কিছু নির্দেশনা দেন।
১/ অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে ছাত্রীদের সম্পর্কে হালনাগাদ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
২/ অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে উনার মেয়ে কোথায় যাচ্ছে তা নিশ্চিত করা। কলেজ শুধু মাত্র ৩/৪ ঘন্টা ছাত্রীকে কলেজে পায় বাকি সময় আপনার মেয়ে কোথায় কিভাবে সময় কাটাচ্ছে তার খোঁজ রাখার জন্য সচেতন হতে বলেন।
৩/ প্রতিমাসের বেতন ভাতা কলেজের নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়ে হালনাগাদ থাকতে বলা হয়েছে।
৪/ মাসিক পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে ছাত্রী এবং শিক্ষদেরকের কাছ থেকে তথ্য নেয়া এবং প্রয়োজনে পড়ালেখায় ছাত্রীদেরকে আরো ভালো করার দিকনির্দেশনা দেয়া।
৫/ ব্যাক্তি পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে কোনো শিক্ষক কর্মচারীর সাথে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সচেতন করে কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
৬/ আগামী শিক্ষা বর্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সকলের অবস্থান থেকে সহযোগিতা ও প্রচারণার আশা ব্যাক্ত করা হয়।
শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা :
১/ প্রতিদিন সকাল ১০র মধ্যে কলেজে সকল শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
২/ ক্লাসে ছাত্রীদের উপস্থিতি, ক্লাস পাঠদানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা এবং মাসিক সহ সকল পরীক্ষার নথিপত্র ও প্রমাণাদি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা।
৩/ লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাব এর অতি দ্রুত সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং গভর্নিং বডির মিটিং এ বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে এজেন্ডা আকারে তোলার জন্য শিক্ষক প্রতিনিধি জনাব সুলতান আহমেদকে দায়িত্ব প্রদান করে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
৪/ শরীরচর্চা শিক্ষক সহ আরো ২ জনকে দিয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার টিম গঠন করা হয়েছে যাদের দ্বায়িত্ব থাকবে কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক তদারকি করা।