হিন্দু থেকে মুসলিম না হয়ে মুসলিম রিতিতে বিবাহ হয়। দির্ঘ ৫ মাস পরে মানিক চন্দ্র রায় তার নাম পরিচয় জানতে পারে ওই মেয়েসহ এলাকাবাসী। তার বাড়ি বগুড়া জেলার নন্দিগ্রাম থানার জাম গ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পাসন বাড়ি বলে জানায় মানিক চন্দ্র রায়। তবে অনেকেই রোহিঙ্গা বলে মন্তব্য করেন সাগর ওরফে মানিক চন্দ্র রায়কে। এঘটনায় এলাকয় চানঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । ভুক্তভোগী সারমিন জানান, দীর্ঘ ৫ মাস আগে তার সাথে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুসলিম পরিচয়ে মুন্সির মাধ্যমে বিবাহ হয়।
তবে হিন্দু ধর্মের লোক পরিচয় দেয়নি সাগর ওরফে মানিক চন্দ্র রায়। পরে মঙ্গলবার জানতে পরি তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানাজানি হয়। এলাকার লোক বাড়িতে আসে। অন্যদিকে সাগর ওরফে মানিক চন্দ্র রায় জানান, আমি মুসলিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিবাহ করেছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক পরিচয়টি গোপন রেখেছি। এখন আমি মোসলমান হয়ে তাকে নিয়ে সংসার করব। তবে প্রথমে তার সাথে প্রতারণা করেছি। স্থানীয় মেম্বার সেলিম জানান, এলাকার লোকজন আমাকে খবর দেয়। বিষয়টি আমি সহ এলাকার লোকজন শুনে অবাক হয়েছে। পরে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশকে খবর দিয়েছি।কিন্তু পুলিশ এসে উভয়কে ছেড়ে দিয়েছে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।