পাহাড়ের রাজনীতি নির্মম ও নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছেছে। একজন মানুষের জীবনকে রাজনৈতিক স্বার্থে টার্গেট করে করে মেরে ফেলা হচ্ছে। আবার পাহাড়ের নৃশংস এসব হত্যাকান্ডের মামলা হলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে এসব মামলার আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। যদিও দুএকজন ধরা হয় তারা অজ্ঞাতনামা আসামীর তালিকায় চলে আসে।

পাহাড়ের রাজনীতি নির্মম ও নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছেছে। একজন মানুষের জীবনকে রাজনৈতিক স্বার্থে টার্গেট করে করে মেরে ফেলা হচ্ছে। আবার পাহাড়ের নৃশংস এসব হত্যাকান্ডের মামলা হলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে এসব মামলার আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। যদিও দুএকজন ধরা হয় তারা অজ্ঞাতনামা আসামীর তালিকায় চলে আসে। সন্ত্রাসীদের ব্রাসফায়ারে নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারকে সামান্য কিছু অর্থ সহায়তা দিয়েছে সরকার। তাই বলেকি বিচার হবেনা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের? নিহত কর্মকর্তারা হলেন , সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আবু তৈয়ব, সহকারী পোলিং অফিসার আমির হোসেন, আনসার সদস্য আলআমিন ও বিলকিস আক্তার। অপর দুজনের নাম মিহির কান্তি দত্ত ও মন্টু চাকমা। রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে সরঞ্জামাদি নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে নয় মাইল এলাকায় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনায় চার জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও তিন জন মারা যান। এছারাও ১৬ জন আহত হয়। বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ মনজুর জানিয়েছিলেন, মামলা নং-২, তারিখ ২০ মার্চ ২০১৯, ধারা ১৪৩,৩২৪,৩২৬,৩০৭,৩০২,৩৪ দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজকের ১৮ ইং মার্চ বাঘাইছড়ির কালোরাত নামে বহুল আলোচিত সেই দিন উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট করে বক্তারা বলেন যে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা ছিল। না হয় এতো বছর পরও কেন জাতি কোন বিচার পায় নি। পরিকল্পিত ভাবে এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ি বাঙালি জাতির জন্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পাহাড়কে জিন্মি করাই ছিল মূল টার্গেট। রাষ্ট্রীয় ভাবে আহত নিহতদের স্বজনদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েও দৃশ্যমান করে কোন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়নি।নন পলিটিক্সের বিজ্ঞ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে এই স্মারকলিপি প্রদান করে। তারা আরোও জানান যে, এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিত ব্যাক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা না হলে পার পেয়ে যাবে আসামীরা। ব্যার্থ হয়ে যাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে বাঘাইছড়িবাসী সহ পাহারের সর্বস্তরের জনগণ। বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারের শাষনামলে ভোটচুরি করতে গিয়ে সাধারণ জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি,মারধর,করাসহ ভোট দেওয়ার অপরাধে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিলো ভোটারদের। আঞ্চলিক রাজনীতিতে স্বসস্ত্র বাহীনি থাকায় সেই সময় প্রার্থীরা এই স্বসস্ত্র গ্রুপের সহায়তায় গনহত্যা চালায়। সেই সময় এই হত্যাকান্ড চলার পরেও ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি। নিরাপত্তার অভাবে স্থগিত করা হয়েছিল তারপরবর্তী ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বিগত হয়েছে স্বৈরাচার, পালিয়েছে ভোটচোর সরকার, রয়ে গেছে তার দোষর। যাদের আনা হয়নি বিচারের আওতায়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি পাহারের প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। সাধারণ জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টির আগেই উদ্যোগ নিন। বক্তারা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বলেন, অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা বন্ধ না করে বরং সবাই সোচ্চার হোন।আইন তার গতিতে চলতে দিন।কেউ আইনের গতিতে বাঁধা প্রয়োগ করে সুবিচার বিলম্বিত করে পূর্বের ন্যায় অগনিত পাহারের খুন,গুম,হত্যার এই রক্তহোলি অব্যাহত রেখে খুন হওয়া ব্যাক্তি দের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। খুব শীঘ্রই সুবিচার নিশ্চিত পূর্বক খুনিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যাশা করেন সবাই। তৎকালীন বাঘাইছড়ির সেই সমালোচনার ভোট চুরির নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের খতিয়ে দেখতে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক বলেও আওয়াজ উঠেছে সবার মুখে।