কালমেঘায় চাঞ্চল্যকর "রিপনের নিখোজের ঘটনায় এলাকায় শোক বিরাজ করছে। গত ২৫শে এপ্রিল রাত আনুমানিক ২টার পরে বিষখালী নদীতে অবৈধ জাল উচ্ছেদ অভিজান চালিয়ে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের টুলুপয়েন্ট এলাকার তিনজন জেলে আটক করে বেধরক মারধর করে বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তার দল। দু'জন জেলেদের অন্যত্র নিয়ে যায়, আরেকজন মোঃ রিপনকে ট্রলারে রেখে মারধর করে নদীতে ফেলে দিয়ে যায়।
সকাল ৯টার দিকে বাকি দু'জন জেলেদের নদীর মাঝে নৌকায় ছেরে যায়, রিপনের খোঁজ করলে পালিয়ে গেছে এমনটা বলে চলে যায়। এরপর জনপতিনিধি ও স্থানীয় জেলেরা মিলে নদীতে খোজাখুজি করে, প্রায় ২২ ঘন্টা পরে ২৬শে এপ্রিল রাত ১২টার দিকে পরবর্তী এলাকায় নদীর চরে ভাসমান পাওয়া গেছে রিপনের মরদেহ, পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদে সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। মরদেহ টুলুপয়েন্টে নিয়ে এসে স্বজনের শেষ দেখা করিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ২৭শে এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্তের কাজ শেষে মোঃ রিপনের নিজ বাড়িতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়, আসর নামাজবাদ জনাজা ও দফন করা হবে।
এদিকে অপর দুজন জেলে মোঃ দেলোয়ার ও মোঃ রাসেল উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। মরদেহ দাফন কার্যক্রমে বরগুনা ২আসনের এমপি সহ সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপতিনিধিরা উপস্থিত হচ্ছেন। সবাই এইঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।