বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধে ১৪ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় পাইজাল সহ বিভিন্ন প্রকারের জাল ফেলে চলছে মাছ শিকার। এ সময় ইলিশসহ সকল প্রকার সামুদ্রিক মাছ ধরার উপর সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা মানছেন না গভীর সমুদ্র তীরবর্তী এ উপজেলার অনেক জেলে।
তাছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ, সোনার চর, চর হেয়ার সমুদ্রের ভিতরে জেগে ওঠা এসব চরের সাগরে পাই জাল ফেলে ট্রলার দিয়ে টেনে টেনে মাছ তোলা হচ্ছে। পাইজাল অতি ঘন নেট জাল হওয়ার কারনে সকল প্রকার মাছ উঠে আসছে। এ জাল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়া, সমুদ্রে ইঞ্জিল চালিত ট্রলার দিয়ে মাছ ধরতে ব্যাস্ত সময় পার করছে জেলেরা।
বেহন্তি জালের বাগদা মাছের পোনা সংগ্রহ করছেন জেলে নুরু মিয়া। সমুদ্র কূলে বেশি পোনা পাওযায় পরিবার সহ এসেছেন। মইয়া নেটজাল পেতে সংগ্রহ করা হচ্ছে বাগদা চিংড়ির রেনু। এর ফলে অন্য প্রজাতির মাছ ধংস হচ্ছে। এভাবে  জলিল, মাহিনুর, স্বপন, নছিমন বিবিরা মাছের পোনা সংগ্রহ করছেন।
বেল্লাল মাঝি তার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গাবালীর পূর্ব নেতা। সম্পূর্ন নিষিদ্ধ পাইজাল ফেলে মাছ ধরছেন। তার ট্রলারে রয়েছে ১৫ জন জেলে। সে জানায় এসব মানা-টানা হুনলে পেট ভরবে না ( নিষেধ শুনলে)। সব কিছু ম্যানেজ করেই মাছ ধরতে হয়। ভাগে ভাগে ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে মাছ ধরছি। মৎস্য অফিসের স্যারেরা আসলে খোরাকি মাছ টাকা দিয়ে দেই তারা চলে যায়। যারা তাদের সাথে যোগাযোগ না রাখে ঠিক মতো তাদের জাল পুড়িয়ে দেয়।
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ পাইজালের মালিক আউয়াল মাঝি সেও পূর্ব নেতা থেকে এসেছে তাকে ডাকলে কাছে আসে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দ্রুত জাল টেনে ট্রলার নিয়ে সরে পড়েন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সিনিয়র  মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, আমাদের অভিযানের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকায় আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারছিনা। আর আমি কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। আমাদের কোন যানবাহন নেই যা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করবো। আপনাদের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি অভিযান পরিচালনা করার চেষ্টা করবো।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পর্যাপ্ত লোক বল এবং অনুদান না থাকায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে সব ঠিক হয়ে যাবে। নৌ পুলিশ এবং কোর্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়।