ভুক্তভোগী মোঃ কারিমুল ইসলাম মন্ডল (২৪) দাবি করছেন, তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
একই সাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১১ মাস আগে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জসীমউদ্দিন বিঞ্জুর (৪৮) মেয়ে মেফতাহুল জান্নাত কোহেলীর(২০) সঙ্গে ওই ছাত্রনেতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস সম্পর্ক ভালো থাকলেও ধীরে ধীরে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করেন, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার স্ত্রীকে নিজেদের কাছে আটকে রেখেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই পারিবারিক কলহের পেছনে প্রধান কারণ তার রাজনৈতিক ভিন্নমত। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে জানায়, যদি তিনি ছাত্রদল ত্যাগ করেন তবেই তারা তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠাবেন।
ছাত্রনেতা আরও দাবি করেন যে, তিনি তার শ্বশুর জসীমউদ্দিন বিঞ্জুকে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানালে তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, যৌতুক কিংবা ধর্ষণের মতো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হবে। এদিকে, তারা লোকমুখে প্রচার করছেন যে, যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবি করার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই মিথ্যা অভিযোগে তার মান-সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি তার উপর মিথ্যা যৌতুকের অভিযোগ আনায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ওই ছাত্রনেতা তাদের এই শর্তে রাজি না হওয়ায়, তার স্ত্রীর বড় আব্বু আব্দুল জলিল বাবু তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, আব্দুল জলিল বাবু তাকে মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। ছাত্রনেতা আরও জানান যে, তিনি তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তাকে রামদা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ভাড়াটে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে তিনি ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপরও হুমকি অব্যাহত থাকে। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তিনি ২ লক্ষ টাকা দেন এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন।
তালাক প্রদানের পরেও তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান, এবং বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এই ঘটনার ফলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অনেকেই বলছেন, এটি কেবল একটি পারিবারিক কলহ নয়, বরং রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া একটি অনভিপ্রেত ঘটনা। ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন এবং এ বিষয়ে প্রশাসন ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সকলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।