রমজান মাস উপল‌ক্ষে ১০ মার্চ থেকে রাজধানীতে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

রমজান মাস উপল‌ক্ষে ১০ মার্চ থেকে রাজধানীতে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তি‌নি।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রহমান ব‌লেন, রমজানে ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি করবে সরকার। আগামী ১০ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি জায়গায় তা পাওয়া যাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে দুধও।

তি‌নি জানান, রমজান উপলক্ষে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা ও সলিড ব্রয়লার ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়া ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। এটাই হলো আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।

সারা দেশে করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ত্রিশটি জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব। ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

ডি‌সি‌দের কি নি‌র্দেশনা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে জান‌তে চাই‌লে মন্ত্রী ব‌লেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবো। এবার ডিসিরা তাদের সব সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন।

আবদুর রহমান বলেন, আসন্ন রমজানে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে যাতে মানুষ স্বস্তিতে পণ্য কিনে খেতে পারে। আমরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান করছি, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

তিনি বলেন, এ সম্মেলনে ডিসিরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা কোনো অবস্থাতেই বাজার অস্থিতিশীল হতে দেবেন না। খাদ্য নিয়ে কারসাজি রোধ করবেন।

আবদুর রহমান বলেন, আমাদের আইন করে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নৈতিক জায়গায় ঠিক থাকতে হবে। সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে, পবিত্র মাসে কারসাজি করে দাম বাড়ানো দুঃখজনক৷

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরার জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন, প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্ট জাল। এটা দিয়ে যত্রতত্র মাছ ধরা হয়। যেই মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দিই, তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।(সূত্র;রাইজিংবিডি)