গত ২৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে রংপুর সিটিতে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও ইসির যুগ্ম সচিব মোঃ আবদুল বাতেন এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করলেও তার এ মন্তব্য মানতে রাজি নন বিভিন্ন ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা।

সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে, যেগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তবে যেকোনো ঝামেলা নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। নির্বাচন কমিশন বলছে, ইভিএমসহ সবকিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে, বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এ নির্বাচনে থাকছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সহিত সম্পন্নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের সাথে সমন্বয়পূর্বক এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে কেউ ঝামেলা সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

আর মাত্র ৮ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এবার মেয়র পদে ৯ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জনসহ মোট ২৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ নির্বাচনে। বিজয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভোটারদের কাছে টানছেন তারা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।