তাদের মতে, এ নির্বাচন নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখেনি। বদলে দেয়া হয়েছে ফলাফল। ইভিএম নয়, যারা ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করে তারাই এসব কাজ করেছে। ভোটের পরেও উত্তপ্ত রংপুর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ। কেউ কেউ পুনরায় ভোটের দাবিতে করছেন নির্বাচন অফিস ঘেরাও। তবে ইসি বলছে, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ দায়েরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ থাকলে, যে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
রংপুর সদর সিনিয়র জজ আদালতের সিনিয়র সহাকারী জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিয়োগ দায়ের করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সেখানে সুবিচার না পেয়ে থাকলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে। আপিল ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে যদি কারো অভিযোগ থাকে তা গুরুত্বসহকারে দেখার দায়িত্ব ইসির।
এদিকে রসিকের ৩নং ওয়ার্ডের এক নারী ভোটার আরজু বেগম বলেন, আমি আমার শাশুড়ীকে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। শাশুড়ী ইভিএম বোঝেনা তাই বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসার আমার শাশুড়ীর আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করে তার ভোট আমাকেই দিতে বলে। আমিও ভোট দেই। আমার শাশুড়ী আর আমার পছন্দতো এক নাও হতে পারে। তাহলে এভাবে কতজনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে ভাবুন। এ প্রতিবেদক নিজেই রসিকের ৩নং ওয়ার্ডে উত্তম বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজ ভোট দিতে নিদিষ্ট বুথে প্রবেশ করলে, তিনি লক্ষ্য করেন এক ভোটার প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট চেষ্টা করে ইভিএমে নিজের ভোট প্রদান করেন।