কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে ভাংচুর ও হামলার অভিযোগে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলামিন সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ ১ফেব্রুয়ারি, বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ভৈরব উপজেলা শাখার দলীয় প্যাডে লিখিতভাবে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলামিন সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিস্কার আদেশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি আজ দুপুরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেন ও স্থানীয় মানুষের মাঝে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। লিখিত বহিষ্কার আদেশে স্বাক্ষর করেন, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক  অলিউল ইসলাম (অলি),  যুগ্ম আহবায়ক অরুল আল আজাদ, ইকবাল হোসেন, আরমান উল্লাহ ও পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন চলাকালীন পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলামিন সৈকতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাস বাহিনী সম্মেলনে হামলা ভাংচুর চালায়। এছাড়াও কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেন।

সম্মেলনে হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও উপস্থিতিতে আলমিন সৈকতকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত সদ্য বহিষ্কার হওয়া পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলামিন সৈকতের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক কমিটির এ বহিষ্কার আদেশ দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়েও দলীয় ও স্থানীয় মানুষের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।