আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে আসছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল ও জোট। কিন্তু সরকারী ক্ষমতাসীন দল তা মানতে একেবারেই নারাজ । বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। কিন্তু তা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না অধিকাংশ বিরোধী দল। ভোট ডাকাতি, গভীর রাতে ব্যলট ভর্তি, বিরোধীদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে। তত্বাবধায়ক পদ্ধতি ছাড়া বর্তমান রীতি অনুযায়ী স্বচ্ছ নির্বাচন কিভাবে আয়োজিত হতে পারে তার কিছু সম্ভাব্য সমাধান তুলে ধরা হয়েছে এই অনুচ্ছেদে। ১. গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ২. ভোটকেন্দ্রে চলমান ছবি ধারনের সুযোগ প্রদান। ৩. স্বচ্ছ ব্যলটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন।
৪. ভোট গণনার চলমান ছবি ধারনের সুযোগ প্রদান। ৫. ভোটকেন্দ্রের বাহিরে সংবাদকর্মীদের সংবাদ গ্রহন ও প্রচারের সুযোগ প্রদান। ডি ডাবিউ এর ২০১৮ সালের ’নির্বাচনে গণমাধ্যমের স¦াধীনতা শীর্ষক’ একটি প্রতিবেদনে বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম লেখেন, তার সারকথা হল: দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করার জায়গা বের হব কিনা তা ছিল আলোচিত বিষয়। ভোক্তার তুলনায় বেশি সংখ্যক অনলাইন পোর্টাল, সংবাদপত্র, টেলিভিশন তথা গণমাধ্যমের ছড়াছড়ি। এছাড়াও রয়েছে পেইড নিউজ এর মত বিষয় যেখানে টাকার বিনিময়ে কোন দল বা প্রার্থীর পক্ষে- বিপক্ষে প্রচারনা চালানো হয়। ফেইক নিউজ বা অপপ্রচারের মত ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। তাছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয় তো রয়েছে, কোন মামলায় কে কখন গ্রেফতার হয় তা বলা কঠিন।
এছাড়াও সেল্ধসঢ়;ফ সেন্সরশীপের কারণে মালিকপক্ষ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য সংবাদ ছাপার বা না ছাপার মত বিষয়গুলো তার লেখনীতে উঠে এসেছে। এখন এসকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে একটি শক্তিশালী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবাদকর্মীগণ যদি নিজ নিজ গণমাধ্যমের আওতায় করার মাধ্যমে দেশকে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের সাক্ষী করতে পারে, তবে তা দেশ, দেশের রাজনীতি, জনগন সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২ তম। উক্ত সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬ দশমিক ৬৩। উদ্ভুত সংকট নিরসনে কাজ করতে বিপত্তি ও বাধা- বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাধা বিপত্তি এড়িয়ে গণমাধ্যম ও তার কর্মীদের স্বাধীনতা বিঘিœত না হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অনেকেই।