মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বালাই নাশকের অপব্যবহার বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত বালাই নাশকের সুষ্ঠু ব্যবহার ও বাজারজাত করণ উপলক্ষে কীটনাশক কোম্পানি প্রতিনিধি, কীটনাশকের ডিলার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়িদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জুবায়ের হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. আরিফুল হাসান, দৈনিক প্রগতির আলো পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজমী নূর রাত্রী, স্কয়ার ক্রপকেয়ারের কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ও কীটনাশক ব্যবসায়ি নাজমুল হূদা প্রমূখ।প্রধান অতিথি উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, বালাই নাশক প্রয়োগের একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। ওই মাত্রা অতিক্রম করলেই পরিবেশ ও মানবদেহের ক্ষতি হয়। এই বিষয়গুলো আমরা আপনাদের অবগত করতে এসেছি। ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার না করার জন্য বলতে এসেছি। যেগুলো সরকার অনুমোদিত সেগুলো বিক্রির আগে কৃষকদেরকে প্রয়োগবিধি ও পরিমাপ অবশ্যই জানিয়ে দিতে হবে।ডোজের বাইরে কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রবণ বা বালাই নাশক বিক্রি করা যাবেনা। বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, মানুষের ভোগ্যপণ্য উৎপাদন করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অবৈধ অনুমোদনহীন রাসায়নিক দ্রবন প্রয়োগ করায় পরিবেশ ও মানবজীবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমরা আর এটা মেনে নেবোনা। অবৈধ রাসায়নিক বিক্রি বা প্রয়োগের প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধের ধরণ বুঝে ৫লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। আজকে এই বার্তা দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, যারা ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগে কৃষকদের উৎসাহিত করেন বা যারা অতিমাত্রায় আনারসে রাসায়নিক দ্রবণ প্রয়োগ করেন তারা প্রকারান্তরে প্রত্যেকেই খুনি। কারণ ক্ষতিকর ওই উপকরণ মিশ্রিত ফল খাওয়ার ফলে অনেকেই কিডনী রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এর প্রমাণ আপনারাই। মধুপুরের প্রত্যেকটি কৃষক তার পরিবারের সদস্যদের জন্য আনারস আলাদাভাবে রাসায়নিক প্রয়োগ ছাড়াই আবাদ করেন। আর বিক্রির জন্য আবাদ করেন রাসায়নিক দ্রবণ মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ করে। আজকের পর থেকে মাঠ পর্যায়ে অভিযান শুরু হবে। অভিযান শুরুর আগে আপনাদের সতর্ক করতেই কৃষি বিভাগের এই আয়োজন।