গত ৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মা-২) জি.এম. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহালের জন্য নির্দেশনা দেন। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে,প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রফেসর আব্দুল মালেক খান নামে এক ব্যক্তি অত্র অধিদপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলীর বিরুদ্ধে আনীত ৪টি অভিযোগের মধ্যে একটিও প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে স্বপদে যোগদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এরই ধারাবাকিতায় রোববার (১৩ জুলাই) দুপর আড়াই টায় উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এসময় অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ তাকে সাদরে গ্রহণ করে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন।পরবর্তীতে সমাবেশ শেষে সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা এবং প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে তাকে বসিয়ে দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী। এসময় সকল অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৯ জুলাই গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগদানপত্র দাখিল করেন তিনি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর একটি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘসময় ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানের বাহিরে ছিলেন। এরপর অনেক চড়াই উৎরায় পেরিয়ে পূনরায় অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবকবৃন্
মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ বলেন, প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত না হওয়ায় গত ৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মা-২) জি.এম. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রধান শিক্ষক বাদেশ আলীকে স্বপদে বহালের জন্য নির্দেশনা দেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।