বছর পেরিয়ে আবার এসে গেছে আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাস রমযান। দুনিয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর একটা করে মৌসুম দিয়েছেন। মৌসুম অনুযায়ী কোন জিনিস পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়।

গত রমযানের স্মৃতি মানসপট থেকে মুছে যায় নি এখনো, বছর পেরিয়ে আবার এসে গেছে আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাস রমযান। দুনিয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর একটা করে মৌসুম দিয়েছেন। মৌসুম অনুযায়ী কোন জিনিস পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়। তেমনিভাবে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত-বন্দেগী, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মৌসুম হচ্ছে পবিত্র রমযান। এই মাসে ফরয ইবাদাতের সাওয়াব সত্তর গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র আল-কুরআন। এই একটি মাসের কথাই আল-কুরআনে বর্নিত হয়েছে।

 আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সাওম ফরয করা হয়েছে, যেরুপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী (খোদাভীরু) হতে পার। (সূরা বাকারা:১৮৩) বড় বড় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার পাশাপাশি ছোট ছোট ও সাধারণ গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকার নাম তাকওয়া ও খোদাভীতি। তাকওয়া ও খোদাভীতির অর্থ অন্তকরণে সর্বাবস্থায় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখা। শরীয়াতের সকল বিধিবিধান মেনে নেয়া ও পালন করা। মহান আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে নিজেকে সঁপে দেয়া। পরকালের জন্য পূর্ণ প্রস্ততি গ্রহন করা। 

পবিত্র রমযান মাসে আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে কয়েকটি আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অর্থ বুঝে বেশী বেশী পবিত্র আল-কুরআন তিলাওয়াত করা। নফল ইবাদাত করা। সময় অপচয় না করে আল্লাহর স্মরণে সময় ব্যয় করা। অশালীন, মিথ্যা ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা। বেশী করে তাওবা ও ইস্তিগফার করা। দান সদকাহ ও যাকাত আদায় করা। রমযানের শেষ দশকে একান্ত সময় যাপন করা তথা ইতিকাফ করা। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমযানের সালাত (তারাবীহ) আদায় করবে, তার পূর্বের সমস্ত গোণাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী)।