আশাশুনি উপজেলা পরিষদ ভবন ও পরিষদ চত্বর গোচারণ ভূমিতে পরিণত হওয়ায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
দ্বিতলা বিশিষ্ট বিশাল ভবনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অনেকগুলো অফিসারদের দপ্তর রয়েছে। ফলে প্রতিদিন শত শত মানুষের আগমন ঘটে থাকে উপজেলা পরিষদ ভবনে। কিন্তু নানাবিধ কারনে কাজে আসা মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে সারাদিনই গরু ছাগলের চারণ ভূমি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকি বিশাল পরিষদ ভবনের প্রথম তলার বারান্দা সকলের যাতয়াত ও এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে চলাচলে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বারান্দায় মাঝে মধ্যে গরু ছাগল চলাচল করতে দেখা যায়। কখনো কখনো গবাদি পশুর বিষ্ঠা-গোবর ছড়ানো থাকে। চলাচলরত মানুষ কখনো কখনো গোবর পদদলিত করে বারান্দা অপরিস্কার করে তোলে। এছাড়া বৃষ্টি নামলেই বারান্দা বর্ষার পানিতে টইটম্বুর করে। অসমতল বারান্দার মাঝ খানে পানি জমে থাকায় মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। গোটা পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। এছাড়া বৃহত ও সুপরিসর এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষদে কোন সাইকেল গ্যারেজ না থাকায় দুরাবস্থা লেগেই আছে। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোটর যান গ্যারেজ না থাকায় ভবনের গেটের সামনে তাদের গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে। অফিসার ও আগত মানুষের যানবাহন রাখার জন্যও নেই কোন গ্যারেজ। ফলে অনেককে বারান্দায় সাইকেল, মোটর সাইকেল রাখতে দেখা যায়। আবার অনেকে ভবনে ঢোকার পথে জটলা করে যে যেখানে পারেন সেখানেই যানবাহন রেখে থাকেন। ফলে কাজ শেষে গাড়ি বের করা, যাতয়াত করা কষ্টসাধ্য ও কখনো কখনো প্রতীক্ষায় থাকতে বাধ্য করে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ভবনের বারান্দায় গিয়ে দেখা যায় মূল গেট দিয়ে ঢুকে সিনি: উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে পড়ে আছে তিন স্থানে গোবরের চাপ। গোবরের দুর্গন্ধ ও বৃষ্টির পানির জমে থাকা অপরিচ্ছন্ন অংশ গোটা বারান্দাকে দখল করে রেখেছে। বিষয়টি একজন সায়বাদিক লাইভে এসে প্রচার করেন। এক ঘন্টা পরে আমার সেখানে গিয়ে দেখা যায় গোবর পরিস্কার করা হয়েছে, কিন্তু চিরসখা গরু বিচরন করছে বারান্দায়। নিত্য সাথী পরিবেশ কেউ কেউ খাপ খাওয়াতে বাধ্য হলেও এটি কতটা অপমান জনক, অস্বাস্থ্যকর ও দৃষ্টি কটু তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখেনা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি সাধারণ মানুষরা।