পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ও সাবেক ছাএদল নেত শাকিল মাহমুদ পলাশের ছবি অন্য কারো ছবির সাথে এডিট করে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে ।


রবিবার (৩১আগষ্ট) উক্ত ছবি ভুয়া  বানোয়াট তার নয় আখ্যায়িত করে  ইন্দুরকানী থানায় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ ডায়েরি করার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন। 

জানা যায়, শাকিল মাহমুদ পলাশ ইন্দুরকানীর ঐতিহ্যবাহী বিএনপি পরিবারের সন্তান। পারিবারিক ভাবেই তারা আজীবন বিএনপি'র  রাজনীতির সাথে জড়িত। তার আপন মেজ চাচা মরহুম আব্দুল লতিফ হাওলাদার দীর্ঘদিন  ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন,যাকে সবাই বিএনপি লতিফ হিসেবেই চিনতেন। তার চাচার হাত ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটবেলা থেকে বিএনপিও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ইন্দুরকানী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হিসেবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন।

 বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে বিগত এক মাস আগে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগামনীতে কর্মীসভা ও ১৬/৮/২৫ ইং তারিখে ইন্দুরকানী সরকারী সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ব্যাপক সংখ্যক নেতা কর্মী নিয়ে শোডাউন ও কর্মীসভায় যোগদানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ সবার নজর কাড়ে। তার ঈশ্বনীয় সাফল্যে প্রভাবিত হয়ে বিরোধীপক্ষ ও কুচক্রী মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ফন্দি ও নীল নকশা আঁটে। 

তারই অংশ হিসেবে বিগত কয়েকদিন আগে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়ালের সাথে ছাএলীগ কর্মীর তোলা ছবির সাথে পলাশের ছবির মাথা কেটে এডিট করে কে বা কারা ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এতে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়।

এ ব্যাপারে শাকিল মাহমুদ পলাশ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও কুচক্রী মহল যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তা সবার কাছে দিনের আলোর মতো পরিস্কার। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির কাছে গিয়ে সাথে ছবি তোলা তো দূরের কথা বিরোধী দলের কোন নেতা কর্মীদের সাথে একসঙ্গে বসে চা খাওয়ার ঘটনাও কখন ঘটেনি। যে ছবির সাথে আমার ছবি মাথা কেটে এডিট করা হয়েছে তার আগে এবং পরে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এর সাথে বাস্তবে আমার কোন মিল নেই। সম্পূর্ণই ভুয়া ও এডিট করা। কুচক্রী মহল যদি মনে করেন মিথ্যা বানোয়াট ছবি ফেসবুকে পোস্ট ও কুৎসা রটনা করে আমাকে পদ বঞ্চিত করবেন, হেয় প্রতিপন্ন করবেন, তাহলে তারা ভুলের মধ্যে আছেন। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই সত্যটা সবার সামনে চলে আসবে।  

ইন্দুরকানী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাকিল মাহমুদ পলাশ থানায় জিডি করেছেন। তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা প্রকাশ পেলে দোষীদের  বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।