এজন্য সবাইকে পরিবহণ আইন মেনে চলতে হবে। তিনি আরও জানান, বিআরটি (বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে উত্তরার আজমপুর বিএনএস টাওয়ার থেকে টঙ্গীর কলেজগেট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার পথে দুই লেনের ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গাজীপুরকে যানজটমুক্ত রাখার জন্য ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে গণপরিবহণ মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন।

সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অশোক কুমার পাল, সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) চৌধুরী মো. তানভীর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাকির হোসেন, গণপরিবহণ মালিক কামরুল হাসান রিপন, আব্দুল মতিন, এসএম ফেরদৌস প্রমুখ। সভায় গণপরিবহণ মালিক ও প্রতিনিধিরা বক্তব্যে বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে হলে গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

এছাড়া যাত্রীবাহী বাস থামানোর জন্য নির্ধারিত লেন ও বাস-বে তৈরি এবং নির্ধারিত বাস স্টপেজ চিহ্নিত করতে হবে। উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিবহণ মালিক-চালক ও শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য সবাইকে পরিবহণ আইন মেনে চলতে হবে। তিনি আরও জানান, বিআরটি (বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে উত্তরার আজমপুর বিএনএস টাওয়ার থেকে টঙ্গীর কলেজগেট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার পথে দুই লেনের ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া চান্দনা চৌরাস্তায় ফ্লাইওভারের সাটারিং খুলে দেওয়া হলে রাস্তা প্রশস্ত হবে। এতে দ্রুত গণপরিবহণগুলোকে চান্দনা চৌরাস্তা পার করে দেওয়া যাবে। ফলে মহাসড়ক যানজট মুক্ত থাকবে। ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের।