চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উম্মাহাতুল মু’মেনীন (রা:) রহমানিয়া মহিলা পাঠাগারের ব্যবস্থাপনায় ও বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়ার সহযোগিতায় ৩য় উম্মাহাতুল মু’মেনীন মহিলা কনফারেন্সে আলোচকরা বলেন, উম্মাহাতুল মু’মেনীন (রা) রা নারী জাতির আদর্শ চরিত্র গঠনে উত্তম মডেল। তারা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার আদর্শে সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করে ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যুগে উম্মাহাতুল মু’মেনীনগণ সমাজ জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করত। আলোচকরা আরো বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র আহবানে সাড়া দিয়ে এবং বিশ্বাস করে সর্ব প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রা:)। ইসলামের মহান আদর্শ কায়েমে তিনি জীবন বাজি রেখে ধন সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে যে খেদমত করেছেন তা অবিস্মরণীয়। ইসলামের চরম সংকটপূর্ণ মুহুর্তে তিনি ছিলেন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রথম ও একমাত্র সহায়ক উম্মত। ১১ মার্চ ১০ রমজান ১৪৪৬ হিজরী মঙ্গলবার দরবার-এ বেতাগী আস্তানা শরীফে অনুষ্ঠিত হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রা:) স্মরণে ৩য় উম্মাহাতুল মু’মেনীন মহিলা কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও দরবার এ বেতাগী আস্তানা শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত মাওলানা মোহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ (মাঃজিঃআলী)।
তিনি বলেন আদর্শ নাগরিক তৈরী করার জন্য আদর্শ মায়ের কোন বিকল্প নেই। ‘মা’ হচ্ছে শিশুর সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষক। প্রতিনিয়ত কাজের মধ্য দিয়ে একজন আদর্শ মা-ই পারেন সন্তানের সামনে ইসলামের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে। নবী রাসূল সাহাবায়ে কেরাম মাযহাবের ইমামগণসহ বড় বড় মনিষীদের জীবন অধ্যয়নের মাধ্যমে নারীগণ সন্তানের সামনে তুলে ধরতে পারে তাদের জীবনাদর্শ। অতএব নারী সমাজের সমাজ সংস্কৃতি ও জাতি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা একান্ত অপরিহার্য। নৈতিক অবক্ষয় থেকে সমাজ কে রক্ষা করার জন্য নারীদেরকে ও সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় হতে হবে। কনফারেন্স উদ্বোধন করেন বেতাগী রহমানিয়া জামেউল উলুম সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ আল্লামা ইলিয়াছ নুরী। মূখ্য আলোচক ছিলেন রাউজান গশ্চি হযরত হাঁচি ফকির (রহ:) সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সাইফুল ইসলাম আলকাদেরী, বেতাগী রহমানিয়া জামেউল উলুম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হযরত মাওলানা জসিম উদ্দিন আবিদি, মাওলানা আবু জাফর বাদশা, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশ বেতাগী ইউনিয়ন পশ্চিম পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুর রহমান রাশেদ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখিকা মোহতারিমা কুসুম আকতার মাইজভান্ডারি, মোহতারিমা রেহেনা আক্তার বেবি, আমেনা খাতুন, মোহতারিমা আজমিরী বেগম, মোহতারিমা হালিমা বেগম, ও মোহতারিমা হোসনে আরা বেগম প্রমূখ। কনফারেন্সে শেষে মৃত মহিলার গোসল ও কাফন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন মোহতারিমা কুসুম আক্তার মাইজভান্ডারি। বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়ার মাধ্যমে বর্তমানে ২৪ টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।