নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মামুন। গত সোমবার দুপুরে বন্দর থানাধীন মুকফুলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজু ও আকিব হাসান রাজুর মধ্যকার সংঘর্ষের সময় মামুনকে একা পেয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে কুপিয়ে আহত করে আকিন হাসান রাজু গং। এ ব্যাপারে আহত মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ৩১(৩)২৩ইং আসামীরা হলেন, বন্দর থানার চিনার্দী এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে আকিব হাসান রাজু(৩২), মুকফুলদি এলাকার আল-আমিন ওরফে কালু(২৮), নয়ানগর এলাকার শামীম (৩২), রোস্তমপুর এলাকার কামাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩২), হাসান (৩০), হাজীপুর এলাকার পাভেল, চুনাভূড়া এলাকার পারভেজ(৩৫), জামাইপাড়ার মাসুম ও লেজারার্স এলাকার শামীম।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে এজহারভুক্ত আরিফ ও অজ্ঞাত হিসেবে লিটন নামের ২ আসামীকে গ্রেফতার করে। এজহার সুত্রে জানা গেছে, আহত বালুচর সোনখোলা এলাকার মো. মামুনের সঙ্গে উল্লেখিত আকিব হাসান রাজু ওরফে চুল্লা রাজুর ড্রেজার ও বালু ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে গত সোমবার দুপুর ১২ টায় মামুন তার ব্যবসায়িক কাজে বালুচর থেকে কল্যান্দির উদ্যেশ্যে বের হলে মুকফুলদি প্রাইমারি স্কুলের সামনে পৌছালে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উৎপেতে থাকা উল্লেখিত আসামিরা তার পথরোধ করে গালাগালি করতে থাকলে।
এতে বাধা দিলে আকিব হাসান রাজু ও আরিফ তাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে মামুনের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্যান্য আসামিরা তাকে বিভিন্ন ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় মামুনের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷ এঘটনায় মামুনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য সেলাই পড়েছে। পুলিশ জানায়, এঘটনায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।