জানা গেছে, কাঠের তৈরি ট্রলারে নিয়ম বহির্ভূতভাবে লোহার বিভিন্ন উপকরণ যুক্ত করে সমুদ্রে যান্ত্রিকভাবে মাছ আহরণের জন্য এসব অবৈধ ট্রলিং বোট ব্যবহার করা হয়। নিষিদ্ধ নৌযানগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব ট্রলিং বোটের কারণে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ট্রলিং বোটের কারণে উৎপাদন ও প্রজনন কমে যাওয়ায় সমুদ্রে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য দ্রুত এ ধরনের অবৈধ ট্রলিং বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা। এ নিয়ে ইতিপূর্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও হয়েছে।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিজামপুর স্টেশনের সদস্যরা মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অবৈধভাবে মাছ ধরার জাল ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তিনটি ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল ধ্বংস করা হয় এবং মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম বলেন,
“মৎস্যসম্পদ রক্ষার স্বার্থে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ ধরার ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”