আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ওই আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ।

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একই উপজেলার কোমরপুর গ্রামের জেয়াদ আলীর পুত্র জাহিদুল ইসলাম(১৮) কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস। আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এর ধারায় খুলনা সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন, যার মামলা নাম্বার ৯/২১।

রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত জাহিদুল কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো। রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী হিসেবে মামলা পরিচালনা কারী স্পেশাল পিপি এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ওই আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ।

মামলার নথি অনুযায়ী জানা যায় ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটায় কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রী (১৬)কে তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম। একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের মুহুর্ত মোবাইলের রেকর্ড করে রাখে। এরপর জাহিদুল ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর পরিবারকে ব্লাকমেইল শুরু করে। 

এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার ২৯। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। নগ্ন দৃশ্য ধারনের দায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে বিচারের জন্য ৯/২১ নং মামলাটি খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের মামলা বিচার সাতক্ষীরা বিচারিক আদালতে চলবে।