বরগুনার কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ড.মো: সেকান্দার হায়াত কলেজটি ২০১৩ সালে স্হাপিত হয়।

বরগুনার কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ড.মো: সেকান্দার হায়াত কলেজটি ২০১৩ সালে স্হাপিত হয়। সুবিশাল একতলা একটি ভবন থাকলেও এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় নেই শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র/ছাত্রী। ছাত্র/ছাত্রী না থাকলেও ভূয়া ছাত্র/ছাত্রী দেখিয়ে সরকারী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছন মর্মে এলাকাবাসী জানান।গত অর্থ বছরে কলেজ উন্নয়নের একলক্ষ টাকা পেলেও তার উন্নয়ন হয়নি মর্মেও এলাকাবাসী জানান।গতকাল ৩০ অক্টোবর(বুধবার) এ প্রতিবেদক উক্ত কলেজ সংলগ্ন অন্য আর একটি সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কলেজটিতে কোন ছাত্র/ছাত্রী দেখতে না পাওয়ায় উপস্হিত এলাকাবাসী ও পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকান্দার জানান, ২০১৩ সালে এলাকার জনহিতৈষী ও দানশীল ব্যক্তি ড.মো: সেকান্দার হায়াত উদ্দিন কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেন।প্রথম প্রথম ছাত্র শিক্ষক থাকলেও এমপিওভূক্তি না হওয়ায় ২/১জন ছাত্র ও ২/১ শিক্ষক আসে।ক্লাস চলে না। বিষয়টি জানার জন্য সকাল ১০.৩৪ মিনিটে কলেজের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় একটি ক্লাশ রুমে ২জন ছাত্রী বসা।অন্য আর একটি ক্লাশ রুমে কোন শিক্ষার্থী নেই। অফিস কক্ষে গিয়ে তার কাছে অধ্যক্ষ এর নাম তার নাম জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেন না। ঐসময় তিনি মোবাইলে স্যার সম্মোধন করে ( সম্ভবত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার )  উপবৃত্তির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও অন্যান্য  তথ্য দিচ্ছেন।তথ্য দেয়ার পর তার নাম জানতে চাইলেও কোন কথা বলেন নাই।উপস্হিত লোকজন জানান উনিই এ কলেজের অধ্যক্ষ। উনার ডাক নাম মিলন। ছাত্র ও শিক্ষক না থাকলেও উপবৃত্তির টাকা অবৈধভাবে সরকারী অর্থ তছরুপ করছেন।বিষয়টি প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া প্রয়োজন।