শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এ নৃশংসতা চালায় সে। আগুনে ওই নারীর মুখমণ্ডলসহ শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আগুনে দগ্ধ হওয়ার ফলে গর্ভপাত ঘটে এবং নবজাতকটি মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। আহত গৃহবধূর নাম সাবানা বেগম(২০)। তিনি একই গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বার এর কন্যা।
বর্তমানে দগ্ধ নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর পূর্বে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত খাইরুল ইসলাম এর ছেলে হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তার এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সাবানা বেগম। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই সূত্র ধরে, স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় পাষণ্ড স্বামী। আশপাশের লোকজন গৃহবধুর আর্তচিৎকার শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে জড়ো হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আসামি আক্তার হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।