০৮,আগস্ট ২০২৪ খ্রি ( বৃহস্পতিবার) বর্তমান বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ন্যায় কুড়িগ্রামে চলছে , বাড়িঘর ভাঙচুর ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন একটি মহল। প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নানান অজুহাত দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছেন।
টাকা দিতে সামর্থ না হলে প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুরও অগ্নি সংযোগের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি কুড়িগ্রামবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী তিনি বলেন, আমাকে বলল আমাদের বিজয় মিছিলে অনেক অর্থ খরচ হয়েছে তাই আমাদেরকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাকুরিজীবী নিজ অফিসে আসলে কিছু ছেলে এসে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। বলেন এতো দিন অনেক কামাই করেছেন এখন কিছু দিতে হবে।কুড়িগ্রাম বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিতু, রোমান সহ আরো কয়েকজনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে ও ত্যাগের পর আজকের এই স্বাধীনতা পেয়েছি।দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ এ ধরনের কাজ করলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ভুক্তভোগীদের পাশে আমাদের ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের সদস্যরা থাকবেন। জনসাধারণ যেন কোন প্রকার ভয় না পায়। আমরা সব সময় তাদের পাশেই আছি।এই সম্পর্কে কুড়িগ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্মকর্তা বলেন , দেশের এমন পরিস্থিতিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি । কোন মহল এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকলে আমরা কঠোরভাবে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যারা সরকারি সম্পদ লুট করেছে তারা যেন স্ব স্ব জায়গায় পৌঁছে দেয়।
সেই সাথে জনসাধারণের বিশেষভাবে আহ্বান করব আপনারা কেউ চুরি করা মালামাল ক্রয় করে বিপদে পড়বেন না। কোন প্রকার হুমকিতে ভয় পাবেন না । যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি । সব সময় আমাদের ফোন নাম্বার সচল রয়েছে নিঃসংকোচে আপনারা যোগাযোগ করবেন। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন ।