নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ফলের বাগানের ২ শত/ আড়াই শত টি আম ও পেয়ারা গাছ দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা । সোমবার (৪ মার্চ) আনুমানিক ভোর ৬ টায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে বাগানের পাহাড়াদার বাগানে গেলে এ গাছ কাটার দৃশ্য ধরা পড়ে প্রথম ।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ফলের বাগানের ২ শত/ আড়াই শত টি আম ও পেয়ারা গাছ দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা ।
 সোমবার (৪ মার্চ) আনুমানিক ভোর ৬ টায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে বাগানের পাহাড়াদার বাগানে গেলে এ গাছ কাটার দৃশ্য ধরা পড়ে প্রথম ।

পরে বাগানের মালিক ও পাশেপাশের লোকজন জানতে পেয়ে ছুটে এসে হতভম্ব হয়ে পড়ে । ১ একর ৭০ শতাংশ জমিতে আমতলা গ্রামের হাজী আব্দুল মজিদ ওরফে  কেনা মিয়ার অনেক পরিশ্রম, অর্থ ও সময়ে গড়ে তোলা আম, জাম, কাঁঠাল, বড়ই ও অন্যান্য সব্জীর সমন্বয়ে চোখ জুড়ানো এই বাগান ।

হাজি আব্দুল মজিদ ওরফে কেনা মিয়া বলেন, অনেক কষ্টের এই বাগান আমার । কে বা কারা রাতের অন্ধকারে  প্রায় দুইশ পেয়ারা গাছ যে গুলোতে ইতোমধ্যে ফুল ও পেয়ারা ধরেছে ও পঞ্চাশটার মতো আমের চারা কেটে ফেলেছে । আমার সাথে শত্রতাবশতঃ এটা করা হতে পারে । আর্থিকভাবে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো ।

রোয়াইবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মোঃ আব্দুল জব্বার বাচ্চু ও সাবেক মেম্বার মোঃ আব্দুল হেকিম বলেন, এই গাছগুলো কারো ক্ষতি করে নি । যে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত ।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক (পিপিএম-সেবা) মুঠোফোনে বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি । সরেজমিনে আমার পুলিশ অফিসারদের পাঠানো হয়েছে  । লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান , এটা খুবই দুঃজনক । এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ করা হলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে । এছাড়াও পরবর্তীতে কোন প্রদর্শনী হলে কৃষি অফিস থেকে ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি ।