=সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরি বিধি লংঘন করে খুলনার গগন বাবু রোডস্থ সবুরণনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়া জনাব মরিয়ম ছিদ্দিকার বিগত ১২ বছরের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতা ও বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু তদন্ত না করে অধ্যক্ষের প্রস্তাবিত কোন ব্যক্তিকে গভর্নিং বোডির সভাপতি মনোনীত না করার জন্য গত ০৫/০ ৯/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়।যা গত ০৫/০৯/২০২৪ তারিখে ভিসি মহোদয়ের দপ্তরে R&D বহি নং ১/৫৩৩ গৃহীত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত না করে অধ্যক্ষের প্রস্তাবিত ব্যক্তি অধ্যক্ষের পূর্ব পরিচিত কলেজের ছাত্রী অভিভাবক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক জনাব মোঃ শাহজাহান কবিরকে ১৯/০৯/২০২৪ তারিখে এডহক  কমিটির সভাপতি মনোনয়ন দেন। পরবর্তীতে জনাব শাহজাহান কবিরকে বাদ দিয়ে খুলনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমাজসেবক জনাব রেহানা আক্তারকে ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে উক্ত কলেজের সভাপতি মনোনয়ন দেন। এভাবে পাল্টাপাল্টির একপর্যায়ে ষষ্ঠ বারের মতো জনাব মোঃ শাজাহান কবিরকেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্ত না করে গত ১৮/০১/২০২৫ তারিখে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়ন দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬/০৩/২০২৫ তারিখে অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত সেই ব্যক্তি জনাব মোঃ শাজাহান কবিরকেই দুই বছরের জন্য নিয়মিত কমিটির সভাপতি বানিয়ে আনেন অধ্যক্ষ। জনাব শাহজাহান কবিরের উপর ভর করে অধ্যক্ষ পূর্বের ন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে গভর্নিং বোডি গঠনে বিভিন্ন সদস্য নিয়োগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে। শিক্ষকদের পক্ষ হতে অবৈধভাবে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করা এবং অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে সভাপতি জনাব মোঃ শাজাহান কবিরকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। এখানে একাধিক শিক্ষক রয়েছেন যারা অত্র কলেজে চাকুরি করেন আবার সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ও হাইস্কুলে এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। প্রশ্ন হল একই ব্যক্তি একের অধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন কিভাবে নিতে পারেন? এর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অধ্যক্ষের দুর্নীতির অংশ হিসেবে তড়িঘড়ি করে কলেজে গত ১৭/০৬/২০২৫ তারিখে গভর্নিং বোডির মিটিংয়ে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য কমিটি গঠন ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। জানা যায় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজিবুর রহমান-এর নিকট হতে =৩,০০,০০০/-( তিন লক্ষ) টাকা উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ গ্রহণ করেছেন। গত ২০/০২/২০২৫ তারিখে পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১৯/০৬/২০২৫ তারিখে এক সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর জনাব মাহবুব কায়সার তদন্তের জন্য কলেজে আসেন এবং তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া অধ্যক্ষের বিগত ১২ বছরের স্বেচ্ছাচারিতা,দুঃশাসন ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ জনাব মরিয়ম ছিদ্দিকার বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে অপ্রয়োজনীয় উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য অধ্যক্ষ জনাব মরিয়ম ছিদ্দিকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত ০৩/০২/২০১৬ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তদন্ত করে তাকে বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেয়া সহ =৩,২৭,৩৮০/- টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ এর অভিযোগসহ আরো একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২০/০৭/২০১৬ তারিখে স্মারক নং- ডিআইএ/খুলনা/১০সি/খুলনা -২২১ পত্র প্রদান করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত কোন কর্তৃপক্ষই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন রূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।