আগুনে মার্কেটের দুই শতাধিক দোকান ও মালামাল পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, নগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় এলাকার হাজী আব্দুর রহিম পাইকারি কাপড়ের মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ও পরে টঙ্গী থেকে আরও দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
মার্কেটের রাস্তা খুব সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শেষ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান তিনি।মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রংধনু ফ্যাশনের ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, “রাত সোয়া ৯টার দিকে মার্কেটে আগুন দেকতে পেয়ে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। আগুন মুহুর্তেই আমার দোকানেও ধরে যায়। এ সময় দোকানে থাকা শীতের কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গি, থিপিসসহ কোন কিছুই বের করে আনতে পারিনি। “দোকানে ৩০ লাখ টাকার মালামাল মজুদ করা ছিল। চোখের সামনে লাখ লাখ টাকার মালামার পুড়ে গেল, দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।”পাইকারি দোকান আজিজ হাউজের মালিক আব্দুল আজিজ জানান, তার দোকানে মজুদ করে রাখা ৬০ লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন যখন লাগে তখন দোকানে থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারেননি।
তার মত এখানে দোকানের মালামাল কেউ বের করতে পারেনি। কোটি কোটি টাকার মত মালামাল পুড়ে গেছে।হাজী আব্দুর রহিম মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন বলেন, এ মার্কেটে ছোট বড় মিলে ৫’শ থেকে ৬’শ ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতো। শীতের বিভিন্ন ধরনের কাপড়সহ শাড়ি, লুঙ্গী, থ্রিপিস, ওড়না ও কম্বলসহ সব দোকানেই মালামালে পরিপূর্ণ ছিল। সারাদিন টুকটাক কাস্টমার থাকলেও সন্ধ্যার পর মার্কেটে প্রচুর ভিড় হয়। “রোববার রাত ৯টার কিছু সময় পর হঠাৎই মার্কেটের পূর্ব-দক্ষিণ পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আশপাশের দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।”ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।