আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর শ্যালক পলাশ মজুমদার।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিজি প্রেস এলাকায় প্রাইভেট কার থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় গুরুতর আহত অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র শীল মারা গেছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর শ্যালক পলাশ মজুমদার। গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায় অপারেশন করে দুটি স্প্লিন্টার বের করা হয়। তবে জ্ঞান না ফেরায় তিনি লাইফ সাপোর্টেই ছিলেন। 

গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সিটি পেট্রলপাম্প এবং বিজি প্রেসের মাঝের সড়ক দিয়ে ভাড়ার মোটরসাইকেলে চড়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ভুবন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মাজাহারুল জানান, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি একদল সন্ত্রাসী চারটি মোটরসাইকেলে এসে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

এ সময় প্রাইভেট কার থেকে মামুন ও তার দুই সহযোগী মিঠু ও খোকন নেমে পড়েন। তখন সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনের পিঠ ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ভুবন চন্দ্র তখন ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে আরামবাগ যাচ্ছিলেন। সন্ত্রসীদের করা গুলি গিয়ে লাগে ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল দশটার দিকে মারা যান ভুবন চন্দ্র শীল।