ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান গতকাল জানান, ‘আজ (গতকাল) আমাদের দিনের বেলা ৪৫০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং করতে হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গ্যাস না পাওয়ায় গতকালও সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। এ কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হয়েছে । ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত শুক্রবার রাত থেকে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট দেখা দেয়। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গত রাতে জানান, দুটি টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনাল আজ (গতকাল) দুপুরে চালু করা হয়েছে। এটি থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। অপর দিকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল ইসলাম গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জানান, ‘আজ (গতকাল) এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

বন্ধ থাকা পাইপে গ্যাসের চাপ আসতে কিছু সময় লাগছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও সার কারখানা ছাড়া সব আবাসিক গ্রাহক, শিল্প-কারখানা ও সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশেই গত শুক্রবার রাত থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিন-চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরের জেলাশহর ও গ্রামাঞ্চলে দিনে-রাতে ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানি বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।

জানতে চাইলে আরইবির পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম গত রাতে বলেন, গত ‘সোমবার দিনের বেলা আমাদের দুই হাজার ৮৯ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।’ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ৯ হাজার ৯৮৪ মেগাওয়াট। এ সময় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল দুই হাজার ২১৬ মেগাওয়াট। ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান গতকাল জানান, ‘আজ (গতকাল) আমাদের দিনের বেলা ৪৫০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং করতে হয়েছে। দিনের বেলা চাহিদা ছিল এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, তার বিপরীতে আমরা সরবরাহ পেয়েছি এক হাজার ২৫০ মেগাওয়াটের মতো।