চন্দনাইশ সদরস্থ খানকাহ-মসজিদের নাম ফলকের  বিরোধ বছরের অধিক সময় নিষ্পত্তি না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ। চন্দনাইশ পৌরসভা সদরস্থ পূর্ব জোয়ারা গ্রামের মৌলানা বাড়ি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে খানকাহ কাদেরিয়া তৈয়বিয়া তাহেরিয়া কমিটির সাথে বিগত ৩ বছর ধরে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। নাম ফলক লাগানো নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে  কয়েক বছরে ধরে  একাধিকবার সংঘর্ষে  ভাঙচুর  হয়। গত বছরের ২৫ অক্টোবর মসজিদের নাম ফলক লাগানো নিয়ে খানকাহ কমিটির কিছু লোকজন মসজিদ কমিটির লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা, ইমামের রুমে হামলা করে,ঘটনার দিন মহল্লার তাহমিদ, সাজিদ গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

    মৌলানা বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন  জানান, মসজিদের নামে ৫ শতক জায়গা রয়েছে তাই মসজিদ কমিটি সাইনবোর্ড দিয়েছে। এই বিষয় আঞ্জুমান এ- রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট একাধিক দরখাস্ত দিয়েছে কিন্তু কোন ধরনের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি ।
    এই বিষয়ে দক্ষিণ জেলা গাউছিয়া কমিটির সাবেক সভাপতি   আনজুমান এ রহমানীয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ফাইন্যান্স সেক্রেটারী কমর উদ্দিন সবুর বলেন,  চন্দনাইশ সদরস্থ খানকাহ বিরোধের বিষয়টি তিনি অবগত আছেন এবং উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে  পরিমাপ করার পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
    মহল্লা কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম সৌরভ বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে বাদী- বিবাদীকে পরিমাপের জন্য বিগত ২৮/০৮/২৪ তারিখে নোটিশ দেয়া হয়েছে কিন্তু বিবাদী পক্ষ থেকে কোন ধরনের সাড়া না দেয়ায় পরিমাপটি স্থগিত হয়ে যায়।
    খানকাহ কমিটির অসহযোগিতা কারণে বিরোধটি নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন 
    মসজিদ কমিটি ও মহল্লা বাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের  নিকট স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান তিনি । মহল্লার  সদস্য আবদুল হালিম জানান, ১০ বছরের অধিক সময় মহল্লাবাসী মসজিদ পরিচালনা কমিটি ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ যাবতীয় খরচ বহন করে। খানকাহ সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই তাদের দাবি অনুযায়ী মসজিদের একটি সাইনবোর্ড থাকবে মসজিদ পরিচালনা দায়িত্ব তারা যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে এবং খানকাহ সাথ যাবতীয় কর্মকাণ্ডে তারা সহায়তা করবে।তিনি বলেন খানকাহ কমিটির কিছু সদস্য বিষয়টি সমাধানের জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না এবং কোন ধরনের সহযোগিতা করছে না বলে তিনি জানান। 
    বিরোধের জেরে বিগত ২ ঈদের নামাজ আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়।  বিরোধের জেরে মহল্লার অনেক মুসল্লী মসজিদে নামাজ আদায় করে না। স্থানীয় শওকত নামের এক ব্যক্তি জানান মসজিদ কমিটি ও খানকাহ কমিটির সাথে একাধিকবার সংঘর্ষ সংগঠিত হয়েছে যার কারণে অনেক নামাজ পড়তে আসে না। বিগত
    ০৩ বছর মসজিদে নামাজ আদায় করছেন না অনেক মুসল্লী ও মহল্লা লোকজন।
    গত বছর ২৫ অক্টোবর সংঘর্ষের পরে মসজিদটি খানকাহ কমিটি দখল করে নিয়ে পূর্বের মসজিদের ইমাম,মুয়াজ্জিনকে বের করে দেয়। বিগত সরকারের কিছু লোক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে বলে জানান শওকত।