চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার বন্ধ থাকবে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনী ক্যাম্পাসে মোতায়েন থাকবে। রোববার (৩১ আগস্ট) চবি উপাচার্যের দপ্তরে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে বৈঠকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ছাড়াও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর সংঘটিত হামলার বর্ণনা দিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন। বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার জানান, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এখন জরুরি এবং তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, ভাড়া বাসার দারোয়ান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় স্থানীয়দের হামলায় সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ এবং অন্তত ১৮০ শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাদের পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এটি সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।