কক্সবাজার শহরে ছিনতাই কারী আটক করতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। এ সময় হাতেনাতে একটি ছোরাসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো, দুই জন কে গ্রেফতার করে। আহত পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা। তিনি কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছে। গত বিকেল আনুমানিক ৩টা ২৫ মিনিটের সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স), অফিসার ও ফোর্সসহ কক্সবাজার সদর মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দস্যুতা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে , ০২ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বাদী মিশফাক উদ্দিন আহমদ (৩৭) কক্সবাজার ফাস এনজিও সংস্থায় টেকনিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত আছে।কক্সবাজার শহরে ইলহাম ভবনের ৬ তলায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিগত ২ (দুই) মাস যাবৎ বসবাস করে তারা।গত (৩০এপ্রিল) সকাল অনুমান ০৭টা ১০মিনিটের সময় অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হইতে বাহির হয় মিশফাক উদ্দিন আহমদ (৩৭)। কক্সবাজার পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের এডভোকেট সালামত উল্লাহ সড়ক ইলহাম ভবনের নিচে পার্কিং এ আসলে অজ্ঞাতনামা ০৩ জন আসামীর মধ্যে একজন মিশফাক উদ্দিন আহমদকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে, গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এসময় তিনি প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হইয়া। ফ্লোরে পড়ে থাকা অবস্থায় সকল অজ্ঞাত ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রদ্বারা থাকে হত্যার ভয়ভীতি দেখাই। তখন মিশফাক উদ্দিন আহমদের সাথে থাকা HP ব্রান্ডের ১৪ ইঞ্চি ১টি টাচ স্ক্রিন: ল্যাপটপ, VIVO Y19 মডেলের ১টি মোবাইল, উক্ত ব্যবহৃত ফোন নম্বর ০১৮১৫-৩৩৩৭৮৭, ম্যানিব্যাগে থাকা নগদ ৮,২০০/- (আট হাজার দুইশত) টাকা এবং ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড ১টি, IFIC BANK ক্রেডিট কার্ড ১টি এবং ০১টি নেভী ব্লু রংয়ের কাধ ব্যাগ জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তিনি উক্ত বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ প্রদান করেন। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই জেলা পুলিশ, কক্সবাজারের ঊর্ধ্বতন অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।কক্সবাজার পুলিশ সুপার, প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ, কক্সবাজার সদর মডেল থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার সদর মডেল থানার একটি চৌকষ টিম ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করে এবং ম্যানুয়েল সোর্স ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দস্যুতা সংগঠনের সহিত জড়িত গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারী ১। সুজা উদ্দিন রুবেল পাটোয়ারী(২৬), পিতা-মোঃ হোসেন, মাতা- খতিজা বেগম, সাং-পূর্ব পাহাড়তলী, ইসুলের ঘোনা, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, ২। মিসবাউল হক মুন্না(২২), পিতা-মৃত মোস্তফা কামাল, মাতা-মোর্শেদা খানম, সাং-ফুলবাগ সড়ক, চাউল বাজার, ৪নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, ৩। ইমাম হোসেন(২৩), পিতা-মোঃ আনু মিয়া, মাতা-নাসিমা খাতুন, সাং-লিংক রোড, দঃ মুহুরী পাড়া, উপজেলা ও জেলা-কক্সবাজার।
এসব ছিনতাইকারীকে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজস্থ পাহাড়তলী এবং জাম্বুর মোড় এলাকা হইতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে মিসবাউল হক মুন্না(২২) এর হাতে থাকা টিপ ছোরার আঘাতে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই(নিঃ) সোহেল রানা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিয়াছে।তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং লুণ্ঠিত HP ব্রান্ডের ১৪ ইঞ্চি ১টি টাচ স্ক্রিন: ল্যাপটপ, VIVO Y19 মডেলের ১টি মোবাইল, উক্ত ব্যবহৃত ফোন নম্বর ০১৮১৫-৩৩৩৭৮৭ এবং ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড ১টি, IFIC BANK ক্রেডিট কার্ড ১টি এবং ০১টি) নেভী ব্লু রংয়ের কাধ ব্যাগ এবং দস্যুতা সংগঠনকালে আসামীদের হেফাজতে থাকা ০২ টি ধারালো ছোরা তাদের হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে মিশফাক উদ্দিন আহমদের (৩৭) এজাহারের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৫/২০২৩ ইং, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।