সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ সংলগ্ন আনন্দপুর গ্রামে ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার আবদুল মুমিন সোহেল (৩৫) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত আটটায় ঐ যুবক তাঁর কুঁড়েঘরের দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পান। ঘটনার আকস্মিকতায় জকিগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দিলে তারা ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর লাশ নিয়ে যায়। নিহত যুবক উক্ত গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমান ( ফাতাই ড্রাইভার) এর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক উদ্যোগে উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের সীমা বেগম (২২) এর সাথে উক্ত যুবক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাতারগ্রাম নিবাসী শাহজাহান আহমেদ (৪০) এর দশসিটা গাড়ি দিয়ে প্রায়ই বাপের বাড়ি আসা যাওয়া করতেন সীমা আক্তার। সেই সুবাদে শাহজাহান এর সাথে তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিগত রমজানে তিনি উক্ত প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান। পরকীয়া প্রেমিক শাহজাহান আহমেদ এর পিলাকান্দি গ্রামে শশুরবাড়ি ও স্ত্রী সন্তান রয়েছে।
স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অনেকটা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন বেচারা স্বামী। জকিগঞ্জ বাজারে তাঁর একটি ওয়ার্কশপ থাকলেও সেখানে তিনি খুব কমই সময় দিতেন। নিহত যুবকের মাহাদি হাসান রাফি(১৪), শাফি আহমদ(১০) এবং তাসলিমা আক্তার (৭) নামে তিনজন ছেলে মেয়ে রয়েছে। বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে স্কুলগামী সন্তানরা চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।