ভুক্তভোগীর পিতা ও স্বজনরা জানিয়েছেন, গত শনিবার (২৬ জুলাই) মেয়েটি স্কুলে পাইভেট পড়ে বিদ্যালয় থেকে টেইলার্সের দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় এক সিএনজি চালক তাকে জোরপূর্বক তুলে নেন। পরে স্থানীয় শাহগলী সিএনজি স্ট্যান্ডের কয়েকজন চালক ওই চালকের কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করলে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
একসময় মেয়েটিকে একটি ব্রিকফিল্ডে নিয়ে পাচঁজন মিলে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের সময় মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে, জ্ঞান ফেরার পর সিএনজি চালক তাকে বাড়ির পাশে এসে নামিয়ে দিয়ে যায়। এরপর তারা ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটিকে মুখ না খোলার জন্য ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটি বাধ্য হয়ে পরিবারের কাছে সত্য উন্মোচন করে।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে ভুক্তভোগীর পিতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, “এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, “আমাদের পরিবারের মস্তিষ্ক বিকল। এত নিষ্ঠুরতা আমরা কখনো দেখিনি। মেয়েটির জন্য আমরা ন্যায়বিচার চাই, দোষীরা যেন শাস্তি পায়। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”স্থানীয় মানুষ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারহাল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বুধবার (৩০ জুলাই) বাদ আছর বারহাল বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।