শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মো. মাহমুদ হোসেন রিপনকে দলীয় কোন্দলের জের ধরে এবং আওয়ামী সমর্থিত হওয়ায় একই ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি (বহিষ্কৃত) শামসুল আলমের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন বিএনপি’র নেতাকর্মী এই হামলা ও মারধর করেন। ঘটনার পর কাঠালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মো. মাহমুদ হোসেন রিপনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে গেলে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কচুয়া বাজারে নিয়ে যায় বিএনপির বিক্ষুপ্ত নেতাকর্মীরা। এ সময় ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা কামালকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে তিনি সেখান থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
আরও জানাযায়, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি (বহিষ্কৃত) ও ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামসুল আলমের সাথে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। গত বছরের ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে শামসুল আলম বিএনপি প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান রিপনকে দায়িত্ব থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন এবং ইউনিয়নে বিএনপি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অবশেষে আজ সকালে রিপন চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বিতাড়িত করার জন্য এই হামলা চালান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ০৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাঠালিয়ায় ০৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ০৪ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পলাতক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মারা যাওয়ায় দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল চেয়ারম্যানরা। তবে শুধুমাত্র শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন প্রথমে পলাতক থাকলেও পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।