ঝালকাঠির বিভিন্ন হাট-বাজার ও এলাকা মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে আসছে এসব ফল। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকছে এসব বাজার। সরেজমিন দেখা যায়, ঝালকাঠি বাজারের প্রধান সড়ক কালীবাড়ি রোড, শহরের বড় বাজারসহ অন্যান্য বাজারে লিচু, আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, ডেউয়া, জাম, কাউসহ নানা জাতের ফল। এরমধ্যে জমজমাট লিচুর বাজার।
বাজারে ফলের অভাব না থাকায় ক্রেতারাও দারুণ খুশি। প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে। আম জাত ভেদে ৪০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডেউয়া আকার অনুযায়ী ২০-৬০ টাকা, কাউ ফল ৭০ টাকা ও জাম ৩০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রাকে করে লিচু, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল আসে। সেখান থেকে আমরা পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। কেনার ওপরে মোটামুটি লাভ হলেই বিক্রি করি।
বাজারে মৌসুমে ফল কিনতে আসা সুলতান বেপারী বলেন, বাজারে নতুন ফল এসেছে। এজন্য দাম একটু বেশি। তারপরও পরিবারের জন্য কিনলাম। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটা ফলের দাম বেড়েছে বলে জানান আরেক ক্রেতা শাকিল মিয়া। ফল ব্যবসায়ী জুনায়েদ বলেন, মৌসুম ফলে ক্রেতার চাহিদা বেশি। তবে এগুলোর দাম বেশি থাকায় অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ফলন বেশি হয়েছে। তবে তীব্র গরমে সময়ের আগেই ফল পাকা শুরু হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাজার জমে উঠেছে।