যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাজধানীরবাসীর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন উপহার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শনিবার উদ্বোধন শেষে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সুধী সমাবেশে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইল ফলক। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি বলেই আজকের এই উন্নয়ন। রাজধানীর যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধান বলেন, ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে তার দল। জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের সুযোগ দিয়েছে বলেই বিদেশিদের কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দাঁড়াতে হয় না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিলো, তাদের কাছে গণতন্ত্রের কথা মানায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ভোটের অধিকার আছে বলেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা এসেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ভিসানীতি কিংবা নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাটি আমাদের। তাই স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভয়কে জয় করেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। কাওলা প্রান্তে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাওলা প্রান্তে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় কাওলা প্রান্তের টোলপ্লাজায় একটি ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে দোয়ায় অংশ নেন সরকার প্রধান। পরে সংশ্লিষ্টরা, একটি ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বিষয়ে অবগত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর রওনা হয় কাওলা প্রান্ত থেকে।
এ সময় তার বহরের সামনে ছিলো গণমাধ্যমকর্মীদের বহনকারী গাড়ি। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় ৯ মিনিট সময় লাগে গাড়ি বহরের। সেখান থেকে শেরেবাংলা নগরের সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাল সকাল ৬টা থেকে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ সাধারণ যান চলাচল শুরু হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ পার হওয়া যাবে মাত্র ১০ মিনিটে। এতে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৮০ টাকা টোলসহ চার ক্যাটাগরিতে টোল আদায় হবে এ উড়ালসড়কে। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সইয়ের এক যুগ পর আলোর মুখ দেখলো এ প্রকল্প। আগামী বছরের জুনে এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত চালু করার লক্ষ্য।