ফরিদপুর চরাঞ্চলের রোগী পরিবহন অ্যাম্বুলেন্স সরু রাস্তায় ঢুকতে ও গ্রামের সড়কে চলাচল করতে সমস্যা এবং তুলনামূলক অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেশি থাকায় সেবাও নিতে পারেন না দরিদ্র মানুষ। এজন্য কম খরচে কীভাবে ব্যতিক্রমী অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা যায় তারই চিন্তা করেছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান। 
পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের সাধারন মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার চিন্তা পূরণে, সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে দুইটি ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছেন। ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স সেবা দুইটির নাম দেওয়া হয়েছে-ভ্রম্যমান এ্যাম্বুলেন্স পদ্মা-১ ও 
২। ইউনিয়নের যেকোনো এলাকা থেকে রোগী পরিবহনে কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে এবং জেলা সদর হাসপাতালে যেতে মিলবে এই ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ, মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুইটি ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়। এসময় চালকের হাতে দুটো ইজিবাইকের চাবি তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এসময়, সদর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-
ইউপি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে এই ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্সের খরচ বহন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
এই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করতে সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মুহূর্তেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইজিবাইক হলেও প্রচলিত অ্যাম্বুলেন্সের মতোই রোগী পরিবহন করবে। 
ইউএনও ইশরাত জাহান এর চিন্তা পূরণ হলো তা তিনি নিজেই জানিয়েছেন, চরাঞ্চলে পরিদর্শন কালে ডিক্রিরচর ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে যতটা উন্নত হিসেবে কল্পনা করেছিলাম বাস্তবে গিয়ে সেরকম দেখিনি। বিশেষ করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা পিছিয়ে পড়া মনে হয়েছে। তখনই চিন্তা হচ্ছিল এসব জায়গা থেকে মানুষ কীভাবে অসুস্থ রোগীকে বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে নেবে। এরকম একটা সমস্যা থেকেই মাথায় ভাবনা কাজ করছিল কীভাবে সেবা প্রাপ্তি আরো সহজ করা যায়। অবশেষে উপজেলা উন্নয়ন ও পরিচালনা প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়। চরাঞ্চলের
সরু রাস্তায় চলবে বলে নাম রাখলাম ভ্রম্যমান এ্যাম্বুলেন্স পদ্মা-১ ও ২।